জাতীয়

স্কুলগুলোতে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করার কথা ভাবছে সরকার

নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্কুলগুলোতে স্যানিটারি ন্যাপকিন সরবরাহ করার কথা ভাবছে সরকার। সচেতনতা বাড়াতে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে তবুও কাঙ্ক্ষিত সফলতা আসেনি বলেই সরকার এমনটা ভাবছে বলে জানিয়েছেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান।

মুরাদ হাসান বলেন, শহরাঞ্চলে বেশিরভাগ মানুষ স্যানিটারি ন্যাপকিন কিনতে পারেন। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে অনেক পরিবার থাকে এটা কেনার মতো তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা থাকে না। তাই সরকারের এমন চিন্তাধারা উপকারীই হবে নিঃসন্দেহে।

মঙ্গলবার প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) অডিটোরিয়ামে স্বাস্থ্য সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ইউএসএইডের উজ্জীবন প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) কর্মশালাটি আয়োজন করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে স্বাস্থ্যসেবার মান ভালো হলেও গ্রামাঞ্চলে এর আরও উন্নয়ন করতে হবে। স্বাস্থ্যখাতে আমাদের যে পরিমাণ বাজেট হয় সেটা অনেক বড় হলেও চাহিদাও আরও বেশি। তাই বাজেটটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশে সংসদের পর সাংবাদিকতা একটি স্তম্ভ উল্লেখ করে মুরাদ হাসান বলেন, দেশের স্বাস্থ্যখাত সম্পর্কে জানতে অনেক সময় লাগবে। কারণ খাতটি বিশালভাবে বিস্তৃত। মহামারী বা প্রকোপ বাড়লে চিকিৎসকরা বুঝতে পারে না। কারণ সামগ্রিকভাবে সাংবাদিকরাই সব দেখে। তারা আমাদেরসহ দেশবাসীকে জানাই। সেটা জেনে আমরাও সেভাবে কাজ করি।

তিনি বলেন, নন কমিউনিকেবল ডিজিজ নিয়ে আমাদের আরও কাজ করতে হবে। সারাবিশ্বে এ ধরনের রোগের প্রকোপ বেশি। এখন সবচেয়ে বেশি গবেষণা এক্ষেত্রে হচ্ছে। আমাদের আরও এগোতে হবে। এখানেও সাংবাদিকরা ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে।

বিএমএসএফের সভাপতি এনামুল কবির রুপমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, সাংবাদিক সেলিম সামাদ, হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সিনিয়র রিপোর্টার খায়রুজ্জামান কামাল প্রমুখ।

 

ঢাকা/সাইফ