জাতীয়

ঢাকা-লক্ষ্মীপুর রুটে হবে নিরবচ্ছিন্ন নৌচলাচল

ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা বাড়িয়ে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর রুটে সারা বছর নিরবচ্ছিন্নভাবে নৌযান চলাচলের পরিকল্পনা করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথের লক্ষ্মীপুর প্রান্তে মেঘনা নদী ড্রেজিং এর মাধ্যমে নাব্যতা উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এর পুরোটাই সরকার দেবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১৩ অক্টোবর এ বিষয়ে পরিকল্পনা বিভাগে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হবে। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামীমা নার্গিসের সভাপতিত্বে সভায় প্রকল্পটির নানাদিক মূল্যায়ন করা হবে। সভায় প্রকল্পটির কোনো সংশোধন করতে হলে সে পরামর্শ দিয়ে আবারও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। প্রকল্পটির সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অনুমোদন দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকল্পটি ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দহীনভাবে অননুমোদিত নতুন প্রকল্প তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র থেকে জানা গেছে।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর মাহাবুব উল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেছেন, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী এবং মেঘনার উপর দিয়ে ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত নৌপথের দৈর্ঘ‌্য প্রায় ১৪০ কিলোমিটার। এই নৌপথ চালু হলে যাত্রীরা সড়কপথের তুলনায় কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ এ নৌপথকে প্রথম শ্রেণির নৌপথ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা ও ধলেশ্বরী নদীতে বর্তমানে কোনো নাব্যতা সঙ্কট নেই। কেবল মেঘনা (লোয়ার) নদীতে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর হাট সংলগ্ন এলাকার কিছু স্থানে পর্যাপ্ত নাব্যতার অভাব রয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের চর রমনীমোহন এলাকায় সৃষ্ট চরের কারণে লক্ষ্মীপুর থেকে সরাসরি ভোলা বা ঢাকার দিকে নৌযান চলাচল ব্যহত হচ্ছে। ওই চরের দক্ষিণ দিকের চ্যানেলে কিছু কম গভীরতার অঞ্চলে খননের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নৌপথটি নৌযান চলাচলের জন্য উপযোগী করা সম্ভব। এই চ্যানেলে পর্যাপ্ত নাব্যতা রক্ষা করা হলে তা ভোলা-লক্ষ্মীপুর এবং ঢাকা-লক্ষ্মীপুর উভয় নৌপথের জন্য ব্যবহার করা যাবে। এজন্য প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে।

প্রকল্পটির মূল কার্যক্রমের মধ‌্যে আছে- ১৫টি প্রকৌশল ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয়, ১৮ লাখ ঘনমিটার ক্যাপিটাল ড্রেজিং, ১৬ দশমিক ২০ লাখ ঘনমিটার মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং ইত্যাদি।

মূল্যায়ন সভা উপলক্ষে পরিকল্পনা কমিশন কিছু মতামত দিয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- প্রস্তাবিত প্রকল্পটিতে ১২ শতাংশ ডিসকাউন্ট রেট ধরে আয়-ব্যয় বিশ্লেষণে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হলেও আর্থিকভাবে অলাভজনক দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে মূল্যায়ন সভায় ব্যাখ্যা গ্রহণ করার মতামত দেয়া হয়েছে। ঢাকা/হাসিবুল/রফিক