জাতীয়

ভারতকে ‘খাবার পানি’ দিয়েছে বাংলাদেশ

তিস্তা চুক্তি ঝুলে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের ফেনী নদীর পানি ভারতকে দেয়ায় যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন, খাবার পানির অভাবে থাকা ভারতের একটি এলাকাকে এই পানি দেয়া হচ্ছে এবং সেই পরিমাণ অনেক কম।

বুধবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রীর যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সফর নিয়ে বিকেল সাড়ে তিনটায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারতের রামগড়ের সাবরম এলাকায় খাবার পানির খুব অভাব। তারা আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে পানি তোলে। ভারতের সঙ্গে খাবার পানির চুক্তি হয়েছে। মাত্র এক দশমিক ৮২ কিউসেক পানি নেবে তারা।’

‘আমরা যে পানি দিচ্ছি, তার পরিমাণ অত্যন্ত নগণ্য। এটা নিয়ে কেন এত চিৎকার, আমি জানি না। কেউ যদি পানি পান করতে চায়, আমরা যদি তা না দিই, সেটা কেমন হবে?’

মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ত্রিপুরাবাসীর অবদান স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ত্রিপুরা আমাদের ঐতিহাসিক বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার মানুষ আমাদের আগলে রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করেছে। সেই ত্রিপুরায় সামান্য খাবার পানি দেওয়ার জন্য আপত্তি থাকতে পারে না।’

এ সময় ভারতের ত্রিপুরাকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। ত্রিপুরাকে যোগাযোগ সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছি। তারা আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রমুখ। ঢাকা/পারভেজ/সাইফ