জাতীয়

এমডিজির সফল বাস্তবায়নই এসডিজির ভিত্তিমূল্য

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেছেন, এমডিজির সফল বাস্তবায়নেই এসডিজির ভিত্তিমূল্য। এমডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। সরকারের সঠিক পরিকল্পনা ও সঠিক নেতৃত্বের কারণে এমডিজির অনেক লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর আজিমপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ   মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নিপোর্ট অডিটরিয়াম ভবনে ‘প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা ও পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জনে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সচিব বলেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অর্জিত সাফল্যের মধ্যে ১ বছরের কম বয়সী ও ৫ বছরের কমবয়সী শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, টিকাদানের হার বা কাভারেজ বৃদ্ধি, মাতৃ-মৃত্যু হার হ্রাস এবং সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব হ্রাস ইত্যাদি নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই অর্জিত হয়েছে। এ সাফল্যের পেছনে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের সকল অংশীজনদেরও অবদান রয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী আ খ ম মহিউল ইসলাম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুপ্রিয় কুমার কুন্ডু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা জানান, এসডিজি এবং বাংলাদেশের ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার (২০১৬-২০২০) শুরু সমসাময়িক সময়ে হওয়াতে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রাসমূহকে ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সুন্দরভাবে সন্নিবেশন করা সম্ভব হয়েছে। এসডিজি  বাস্তবায়নের  ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার শুরুটা সঠিক সময়েই হয়েছে।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় ১৯৯৮ সাল থেকে সেক্টর ওয়াইড কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। ইতিমধ্যে ৩টি সেক্টর ওয়াইড কর্মসূচি সমাপ্ত হয়েছে এবং বর্তমানে ৪র্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি চলমান যার মেয়াদ শেষ হবে জুন ২০২২ সালে। ৪র্থ সেক্টর কর্মসূচিতে এডিজির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত লক্ষ্যমাত্রা সন্নিবেশ করা হয়েছে এবং এসব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সংশ্লিষ্ট অপারেশনাল প্ল্যানের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ