জাতীয়

মেয়াদ শেষ হলেও প্রকল্পের কাজ হয়েছে ৭৭ শতাংশ

বর্তমান সরকার দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত ও সহজতর করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়কের পাশাপাশি রেলপথের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন সংশ্লিষ্টদের।

সম্প্রতি পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, অনেক সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে, এখন রেল ও নৌপথের জন্য কাজ করবে সরকার।

রেলের উন্নয়নে ২০১৫ সালের জুন মাসে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৭ কোটি ৮৪ লাখ লাখ টাকা। মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৯ সালের জুন মাস পর্যন্ত।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও এর কাজ এখন পর্যন্ত হয়েছে মাত্র ৭৭ শতাংশ। লেভেল ক্রসিং গেটের পুনর্বাসন এখনো হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  বৈধ ২৭৩টি রেল ক্রসিংয়ের পুনর্বাসন কাজ সম্পন্ন হয়নি। তবে সব গেটের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া, বৈধ গেটকিপার নিয়োগের জন্য দ্রুত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।

সূত্র জানায়, ৯৭৮টি অনুমোদিত এবং ২৭১টি অননুমোদিত লেভেল ক্রসিং গেট আছে। অথচ এসব গেটের মধ্যে ২২১টিতে গেটকিপার আছেন। ১ হাজার ২৮টি গেট আছে অরক্ষিত। এর ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা, বাড়ছে প্রাণহানি।

এ বিষয়ে তথ‌্য জানতে প্রকল্পের পরিচালক নাজিব কাইসারকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লেভেল ক্রসিং গেট যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে না পারায় এবং প্রয়োজনীয় গেটকিপার না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।  গেটকিপার নিয়োগের কাজ চলছে।

তারা বলেন, আমরা অস্থায়ী গেটকিপারদের স্থায়ী করার জন্য কাজ করছি। তবে অবৈধ রেল ক্রসিংয়ে গেটকিপার দেয়ার সুযোগ নেই। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) তাদের প্রয়োজনে রেল ক্রসিং করেছে। এসব অবৈধ রেল ক্রসিংয়ে গেটকিপার দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভবও না। ঢাকা/হাসিবুল/রফিক