জাতীয়

ইন্দো-প্যাসিফিকে প্রয়োজন স্থায়ী অর্থনীতি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশ্বের ৬৫ শতাংশ মানুষের বসবাসের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল সবচেয়ে ভাইব্র্যান্ট এলাকা হিসেবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এখানে বিশ্বের অর্ধেক বাণিজ্য হয় যা শিগগিরই ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে, সেখানে আমাদের প্রয়োজন স্থায়ী অর্থনীতি।

বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ, ২০১৯’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে একা কেউ চলতে পারবে না। একে অন্যকে সম্মানজনক ও সাম্যের ভিত্তিতে সহযোগিতার মনোভাবে এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সুস্থ প্রতিযোগিতা চাই কিন্তু ভূরাজনৈতিক শত্রুতা চাই না।’

ড. মোমেন বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের আলোচ্য বিষয় হিসেবে তিনটি বিষয় সামনে এসেছে। বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলোর মধ্যে প্রথমত, বিভিন্ন সমান্তরাল আঞ্চলিক উদ্যোগকে সমন্বিত করা। দ্বিতীয়ত, এই উদ্যোগগুলোর উদ্দেশ্য এবং কার্যক্রমগুলোর একত্রিতকরণ বা একত্রিত হওয়া, যাতে আমরা মতদ্বৈততা এড়াতে পারি এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লাভবান হতে পারি। ’

মন্ত্রী বলেন, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আমাদের সমাজ এবং অর্থনীতির সব ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষণীয়। আমরা একে অপরকে যেভাবে সহযোগিতা করি, তাতেও পরিবর্তনগুলো দৃশ্যমান। স্পষ্টতই, আঞ্চলিক সহযোগিতা ক্রমবর্ধমান গতি অর্জন করছে। ’

ড. মোমেন বলেন, প্রকৃতি এবং অর্থনৈতিক বিকাশে সহায়তা করে, এমন যে কোনও বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ সবসময়ই উন্মুক্ত। বাংলাদেশ বিস্তৃত অর্থে কানেক্টিভিটিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার অর্থনৈতিক কূটনীতিকে গুরুত্ব দেয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংক্রান্ত সর্ম্পক স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছে। ’

প্রায় ৫০টি দেশের মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, আমলা, একাডেমিশিয়ান, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে শেষ হলো তিনদিনের ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ। সোমবার এই বিশেষ আয়োজনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) ও ভারতের অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) যৌথভাবে এই ডায়লগের আয়োজন করে। 

এই আয়োজনে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি ও বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মধ্যে কীভাবে যোগসূত্র স্থাপন করে বাংলাদেশসহ অন্যান্য সমমনা দেশগুলো তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পথযাত্রা নির্ধারণ করতে পারে, সেটি নিয়ে আলোচনা হয়। ঢাকা/হাসান/সাজেদ