জাতীয়

হেল্পলাইন ১০৯-৯৯৯-৩৩৩ এর মধ‌্যে সমঝোতা

দ্রুততম সময়ে এবং নাগরিকদের সেবা নিশ্চিতে সমঝোতা হয়েছে দেশের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ হেল্পলাইনের মধ্যে। হেল্পলাইন নাম্বার তিনটি হচ্ছে ১০৯, ৯৯৯ এবং ৩৩৩।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন ১০৯, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই প্রোগ্রামের তথ্য ও সেবা ৩৩৩ এর মধ্যে দুইটি পৃথক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর একটি হোটেলে দুইটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার, মহা পুলিশ পরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।

প্রধান অতিথি ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, সব হেল্পলাইনের মূল উদ্দেশ্য দ্রুততম সময়ে নাগরিকদের সেবা নিশ্চিত করা। অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেকোনো কাজকে সহজ করে দেয়। আজকের এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, বাল্যবিয়ে রোধ, সরকারি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ বিষয়ে দেশের মানুষ উন্নতমানের সুবিধা পাবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহা পুলিশ পরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, প্রযুক্তির উন্নয়নে পুলিশিং ব্যবস্থা বদলে গেছে। সরকার জনবান্ধব, নারীবান্ধব ও শিশুবান্ধব পুলিশ বাহিনী গঠনে কাজ করছে। আজকের এ চুক্তির মাধ্যমে সমন্বিত সেবা দেওয়া যাবে।

সভাপতির বক্তব্যে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তিনটি কল সেন্টারের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হতে যাচ্ছে। যা জনগণের সেবার ক্ষেত্রে একে অপরকে সহযোগিতা করবে।

সমঝোতা স্মারক সাক্ষরিত অনুষ্ঠানে তিনটি কল সেন্টারের সেবার বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করা হয়। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ পর্যন্ত এক কোটি ৩৮ লাখ কল রিসিভ করেছে, ১০৯ এ সেবার জন্য ফোন করেছে ২৮ লাখ ১২ হাজার মানুষ এবং তথ্য ও সেবা ৩৩৩ নম্বার গত এক বছরে রিসিভ করেছে প্রায় ৪০ লাখ কল। ঢাকা/হাসান/সাইফ