জাতীয়

টেকসই উন্নয়নে বাংলাদেশ সফল হবে ২০৩০এর আগেই

২০৩০ সালের আগেই বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ‌্য অর্জনে সফল হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।

শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মিডিয়া বাজারে পিকেএসএফ আয়োজিত এসডিজি সংক্রান্ত এক সেমিনারে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, এসডিজি অর্জনে সকলের সামষ্টিক অংশগ্রহণ, উপযুক্ত অর্থায়ন এবং সাউথ-সাউথ কোঅপারেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ‌্যমাত্রাসমূহের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, এ লক্ষ্য নির্ধারণে বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, সে অর্থে এটি বাংলাদেশেরই লক্ষ্য।

বাংলাদেশকে উদ্ভাবনের দেশ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আর্থিক, প্রযুক্তিগত ও সামাজিক বাধাগুলো এসডিজি'র লক্ষমাত্রা অর্জনে অন্তরায় হবে না।

মন্ত্রী  বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির তথ্য দিয়ে বলেন, আয় বৈষম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বাংলাদেশ অনন্য।

সেমিনারের প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন এবং অনুষ্ঠানের মূল আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রফেশনাল ফেলো ড. এম. আসাদুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পিকেএসএফ চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ যাবতীয় উন্নয়নকে টেকসই করার ওপর আলোকপাত করেন। সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং তার সমাধানের উপায় উদ্ভাবনের ওপর তিনি জোর দেন।

পিকেএসএফ অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশের ১৬টি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। এভাবে জাতীয় পর্যায়েও কাউকে বাদ না দিয়ে, সকলের সার্বিক জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিত করার ওপর তিনি জোর দেন।

সেমিনারে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুলতানা আফরোজ বলেন, ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের দারিদ্র্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সফল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উদ্ভাবন ও ব্যক্তি খাতে উদ্যোগ সম্প্রসারণে দেশে যে অনুকূল পরিবেশ রয়েছে, তা কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সকল সূচকে সাফল্য অর্জন করতে এ সেমিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। ঢাকা/হাসান/সাজেদ