জাতীয়

‘নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সকলের জন্য নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।’

রোববার রাজধানীর মালিবাগে দৈনিক ভোরের কাগজের সম্মেলন কক্ষে ‘ওয়াশ গভর্নেন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ওয়াটার ইন্টেগ্রিটি নেটওয়ার্ক উইন ও দৈনিক ভোরের কাগজ যৌথভাবে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, ‘অর্থ বরাদ্দের চেয়ে নিরাপদ পানির প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে অপচয়।’ অপচয় রোধ এবং এক্ষেত্রে জনগণকে আরও বেশি সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তিনি এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের নির্বাহী পরিচালক এস এম এ রশীদ। বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড. আনোয়ার জাহিদ, ভিইআরসির নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াকুব হোসেন, এসআইএমএভিআই-এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর অলোক মজমুদার, ইউএসটির নির্বাহী পরিচালক শাহ মো. আনোয়ার কামাল, ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুর-এর পরিচালক মোহাম্মদ জোবায়ের হাসান।

আরও ছিলেন ব্র্যাকের মো. রফিকুল ইসলাম, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের পরিচালক (পলিসি এডভোকেসি) ড. আব্দুল্লাহ আল মুয়িদ, টিআইবির এম. জাকির হোসেন খান, ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্কের কনসালট্যান্ট সিফাত-ই-রাব্বি।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০-এর ১৭টি অভীষ্ট লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম হলো ‘অভীষ্ট-৬’ যার উদ্দেশ্য হলো সবার জন্য নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। নিরাপদ পানি সরবরাহ ও মৌলিক স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের অর্জন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসিত ও সমাদৃত হয়েছে।

তবে টেকসই উন্নয়ন ‘অভীষ্ট ছয়’ অর্জনে ক্রমবর্ধনশীল বৈষম্য, প্রাকৃতিক সম্পদ হ্রাস, পরিবেশের ক্ষয়ক্ষতি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো চ্যালেঞ্জগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। ঢাকা/আসাদ/হাকিম মাহি