জাতীয়

বিশ্বের ১০ শহরে পালিত হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী

২০২০ সালে বাংলাদেশের পাশাপাশি লন্ডনসহ বিশ্বের প্রধান ১০টি শহরে জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী বিশেষভাবে পালন করা হবে।

বাংলাদেশি-ব্রিটিশদের প্রাণকেন্দ্র পূর্ব লন্ডনের এক মিলনায়তনে ‘শতকণ্ঠে এগিয়ে যাওয়ার গান’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে তথ্য সচিব আবদুল মালেক এ তথ‌্য জানান। যুক্তরাজ্যের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ সেন্টার ও এটিএন বাংলার উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

সোমবার লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আবদুল মালেক বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যুক্তরাজ্যের জনগণ ও বাংলাদেশি-ব্রিটিশদের অতুলনীয় ভূমিকা ছিল। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান জেল থেকে মুক্তি পেয়ে প্রথমে লন্ডনেই আসেন। এটাই প্রমাণ করে যুক্তরাজ্যের সরকার ও মানুষ, বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা কতখানি গভীর ছিল। এজন্য আগামী বছর লন্ডনসহ বিশ্বের প্রধান ১০টি শহরে বাংলাদেশের সঙ্গে যুগপৎ জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী বিশেষভাবে পালন করা হবে।

তিনি জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সবাইকে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশি-ব্রিটিশদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

সচিব আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র‌্য বিমোচন, শিক্ষা ও খাদ্য উৎপাদনের সাফল্যে বাংলাদেশ বিশ্বে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শেখ হাসিনার কার্যকর নীতিমালা ও পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে এখন অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সাংস্কৃতিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক অনেক বেশি সুদৃঢ়।

তথ্য সচিব বলেন, ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে শুধু আশ্রয়ই নয়, প্রতিদিন তাদের খাওয়া-পরা, চিকিৎসা, নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় সব কিছু দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে মানবতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। এত বড় একটি কাজ সম্ভব হয়েছে কেবল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র জাতি রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিকভাবে ঐক্যবদ্ধ বলেই।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুতগতির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশ হিসেবে এগিয়ে চলেছে। আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা অনুযায়ী ২০২১ সালে আমাদের দেশ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী ও যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম, যুক্তরাজ্যের বিশিষ্ট রাজনীতিক স্টিফেন টিমস ও রোশনারা আলী এবং লন্ডন বোরাগ অব ক্রোডানের মেয়র হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।

লন্ডনসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত বিশিষ্ট ব্যক্তি, গবেষক, পেশাজীবী, ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ও সংস্কৃতিকর্মীরা দুই ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন। এ অনুষ্ঠানে ১০০ বাংলাদেশি-ব্রিটিশ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের চিরচেনা গানগুলো নতুন করে পরিবেশন করেন।

এর আগে তথ্য সচিব পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন লাইব্রেরিতে বাংলাদেশ বইমেলা ২০১৯ এ গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য রাখেন ও মেলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের বঙ্গবন্ধু কর্নার ও অন্যান্য স্টল ঘুরে দেখেন। ঢাকা/হাসান/রফিক