জাতীয়

ডাকসু নেতাদের নামে অপ্রত্যাশিত কিছু শুনলে খারাপ লাগে

রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আচার্য মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নেতাদের নামে এমন কিছু শুনি যেগুলো ভালো লাগে না।

তিনি বলেন, ‘ডাকসু নেতাদের বিরুদ্ধে প্রত্যাশিত নয় এমন কিছু মাঝে মাঝে শুনি। আমি অতটা বলে তাদের হেয় করতে চাই না। কিন্তু তাদের এমন কার্যক্রম আমার ভালো লাগে না।’

সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও গবেষকদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২তম সমাবর্তনে বক্তা হিসেবে ছিলেন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের কসমিক রে রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. তাকাকি কাজিতা। অনুষ্ঠানে তাকেও সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব সাইন্স’ ডিগ্রি দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাধারণ ছাত্রদের কল্যাণে ডাকসু নেতাদের কাজ করতে হবে। সেটাই তাদের সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিত।’

এসময় ডাকসু নির্বাচন করায় ঢাবি উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় কিছু কথা বা অপ্রীতিকর ঘটনা শুনেছি। আমি আশা করব, ভবিষ্যতে যখন আবার ডাকসু নির্বাচন হবে, তখন যাতে আরো সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে এই নির্বাচন হয়।’

তিনি বলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো কোনো শিক্ষালয় নয়। বাঙালির ইতিহাসের সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানের রয়েছে ঘনিষ্ঠ যোগ। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের ইতিহাসে ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ এর ছয় দফা, ’৬৯ এর গণঅভ্যূত্থান, সর্বোপরি ’৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। প্রতিটি আন্দোলনের সূতিকাগার ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।'

এসময় রাষ্ট্রপতি যেসব শিক্ষার্থী স্নাতকে ভূষিত হলেন এবং যারা গবেষকের স্বীকৃতি পেলেন তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

সমাবর্তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল্লাহ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট, সিন্ডিকেট, হল প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা/ইয়ামিন/ইভা