জাতীয়

‘বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ, ভারতের বক্তব্য ভুল’

ভারতের লোকসভায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি বিশ্বে উদাহরণ। এখানে নির্যাতনের কোনো দৃষ্টান্ত নেই।

ভারতের লোকসভায় গতকাল সোমবার নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল উপস্থাপনের সময় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলেন। ভারতের পার্লামেন্টে দাবি করা হয়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন না-থামাটাই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনার অন্যতম কারণ। বিলটি পেশ করতে গিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাদেশসহ তিনটি প্রতিবেশী দেশের সংবিধানকে উদ্ধৃত করে বলেন, এই দেশগুলোর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বলেই সেখানে অন্য ধর্মের মানুষরা নিপীড়িত হচ্ছেন।

এসব বিষয়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমি এখনো বিলটি দেখিনি, দেখতে হবে। তবে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের যে কথা বা হলো- সেটি তো পুরোপুরি ভুল।’

এর আগে বিদেশি একটি গণমাধ্যমে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে একে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে না। বরং তারা শান্তি এবং সম্প্রীতির সাথে বসবাস করছেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা বলতেই পারি যে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের অবস্থা এখন খুব ভাল। আগে যারা বিদেশে চলে গিয়েছিলেন, তারাও এখন ফিরে আসছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়ার কারণে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের অভিযোগ ঠিক নয়। এখানে সব ধর্মের মানুষেরাই তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বিনা বাধায় উদযাপন করে থাকে। এদেশের নিয়ম হচ্ছে, ধর্ম নিজের নিজের, কিন্তু উৎসব সবার। আমরা এই নীতিতেই বিশ্বাস করি।

কূটনৈতিকভাবে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন সোনালি অধ্যায়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলে দুই দেশের নেতারা দাবি করে থাকেন। অমিত শাহের এমন বক্তব্যের পর বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে আশা প্রকাশ করে বলেন, আশা করি এই সম্পর্ক নষ্ট করতে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হবে না।

তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতীম ভারত এমন কিছু করবে না, যা উভয়দেশের জনগণের দুশ্চিন্তার কারণ হয় কিংবা আতঙ্কের সৃষ্টি করে। ঢাকা/হাসান/সাইফ