খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাটের উচ্চমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে কোনো নীতি পদক্ষেপ না থাকায় ভোক্তা স্বাস্থ্য চরম হুমকির মুখে। ট্রান্স ফ্যাট মানুষের হৃদরোগ ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূলে করণীয় তুলে ধরতে আয়োজিত আলোচনা সভা থেকে ভোক্তা স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নয়টি দাবি জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) সম্মিলিতভাবে ‘খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট, হৃদরোগ ঝুঁকি এবং করণীয়: ভোক্তা পরিপ্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভা করে।
এতে প্রধান অতিথি শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ৯ দফা ভোক্তা দাবিনামা বাস্তবায়ন করা হবে। ট্রান্স ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে পুরাতন আইন সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযুগী করা হবে।
বিশেষ অতিথি গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মুহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, বাংলাদেশ থেকে এখন খাদ্যপণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়। সুতরাং ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল করা না গেলে তারা এসব পণ্য কিনবে না এবং আমরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য মনজুর মোর্শেদ বলেন, খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা ২ শতাংশে নির্ধারণের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। এ লক্ষ্যে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটি কাজ শুরু করেছে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক বিগ্রেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিক বলেন, অসংক্রামক রোগের প্রকোপ কমাতে খাদ্যে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূল করতে হবে।
ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্ধারিত ২০২৩ সালের মধ্যে ট্রান্স ফ্যাট নির্মূলে সরকার, ভোক্তা সংগঠনসমূহ সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মুয়াজ্জেম হোসাইন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর এনসিডিসি ডা. হাবিবুর রহমান, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।
সাংবাদিক নাদিরা কিরনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এর ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, প্রজ্ঞার পরিচালক ও কর্মসূচি প্রধান হাসান শাহরিয়ার এবং ক্যাবের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আহম্মদ একরামুল্লাহ। ঢাকা/সাওন/সাইফ