রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণে বিদেশি সংস্থাগুলোর ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশি এনজিওগুলোকে সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে কয়েকটি সংস্থা। সেইসঙ্গে মিয়ানমার থেকে আসা জনগোষ্ঠীকে কর্মসংস্থানের দাবিও জানিয়েছে তারা।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে জয়েন্ট রেসপন্স প্লান (জেআরপি-২০২০) বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি এনজিওর পক্ষ থেকে এ দাবি তোলা হয়।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় নানা ফোরামে স্থানীয় ও জাতীয় এনজিও প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্তি ও অবস্থান নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য তুলে ধরেন তারা।
কোয়াস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সরকারের কাছে স্থানীয় টেকসই সংস্থা অর্থাৎ স্থানীয় সরকার এবং স্থানীয় এনজিওগুলোর মাধ্যমে ত্রাণ কর্মসূচি পরিচালনা তথা মানবিক সহায়তা কার্যক্রম স্থানীয়করণ নিশ্চিতের সুপারিশ করছি।
লিখিত বক্তব্যে রেজাউল করিম জেআরপি ২০২০ খসড়া প্রণয়নে ত্রুটি তুলে ধরে বলেন, রোহিঙ্গাদের রক্ষণাবেক্ষণে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি।
কোয়াস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রোহিঙ্গাদের কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অর্থনীতিতে তাদের অবদান নিশ্চিত করতে এবং সারাবিশ্বের এ জনগোষ্ঠীর প্রতি সহানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যিক সুবিধা তৈরির তাগিদ দেন।
তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে রোহিঙ্গাদের প্রতি মানুষের সহমর্মীতা আছে। তাদের তৈরি যে কোনো কিছু আমরা বিদেশে বিক্রি করে পাওয়া অর্থ তাদের কল্যাণে ব্যয় করতে পারব। যেমন হজে প্রায় ১১ লাখ মুসলমান অংশ নেন। আমরা যদি টুপি বানিয়ে সৌদি আরবে পাঠাই এবং বলি, এগুলো রোহিঙ্গাদের তৈরি করা, তাহলে সবাই গ্রহণ করবে। ’
ঢাকা/নূর/সাজেদ