জাতীয়

বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালুর নির্দেশনা

সন্দেহজনক কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য বেসরকারি হাসপাতালেও আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে এ নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে মঙ্গলবার (৩ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) মিলনায়তনে সংস্থাটির পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ‌্য জানান।

তিনি বলেন, বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আশ্বস্ত করেছেন।

ডা. ফ্লোরা বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি যে, কোন কোন ক্ষেত্রে এমন ধরনের বেশ কয়েকজন দেশি-বিদেশি নাগরিককে হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা করতে অস্বীকার করা হয়েছে।  এ ধরনের ঘটনা একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত।  বিশ্ব জনস্বাস্থ্যের জন্য এহেন জরুরি পরিস্থিতিতে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব পালন করবেন বলে আমরা আশা করি।  সরকার তাদের যে কোনো সমস্যা মোকাবিলায় সহযোগিতা করবে।

সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত বাংলাদেশিদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, দেশটিতে ২ জন বাংলাদেশি নাগরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।  তাদের মধ্যে একজন আইসিইউ-তে এবং তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।  ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।

উহান থেকে দিল্লীতে আসা ২৩ বাংলাদেশি নাগরিক ওই শহর থেকে ৪০ মাইল দূরে একটি কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন বলে জানান আইইডিসিআর পরিচালক।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, আইইডিসিআর-এর ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে সন্দেহজনক আক্রান্তদের নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড-১৯ পাওয়া যায়নি।  স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালনায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর, স্থল বন্দরসমূহে বিদেশ থেকে আসা সব যাত্রীর তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

আইইডিসিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শুরু থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩৭৬ জনের স্ক্রিনিং করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন তারকা চিহ্নিত হোটেলসমূহের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম ও পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিতকরণের লক্ষে একটি ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

কর্মশালায় বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ব্যবস্থাপনা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং সংক্রমণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারে করণীয় নির্দেশনা তুলে ধরা হয়।

আইইডিসিআর পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা রাইজিংবিডিকে বলেন, সব মিডিয়াকে করোনা সংক্রান্ত সংবাদ যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে প্রকাশ করা উচিত।  যাতে করোনা নিয়ে অহেতুক কোনো আতঙ্ক না ছড়ায়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গতকালও (সোমবার) আইসোলেশনে ৭ জন ভর্তি ছিল।  আজ ৫ ভর্তি আছে।  কাউকে নিয়ে সন্দেহ হলে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।  এগুলো তো ফলাও করার মত বিষয় নয়।  সন্দেহ হলে প্রতিদিনই আইসোলেশনে রাখা হচ্ছে।  তারা আবার চলেও যাচ্ছেন। ঢাকা/সাওন/এসএম