জাতীয়

বেসরকারি খাত থেকে অনুদান চাওয়ার পরিকল্পনা

করোনাভাইরাসের আগ্রাসন রুখতে বেসরকারি খাত থেকে অনুদান নেয়ার চিন্তা করছে সরকার। জনগন নিজেদের থেকে সতর্ক না হলে এই মরণব্যাধি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সরকার। বিশেষ করে দেশের বিপুল সংখ্যক নি¤œআয়ের জনগন এই ক্ষতি সামাল দিতে পারবেনা। আর সরকারের পক্ষেও এককভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব হবেনা। অবস্থার ভয়াবহতা চিন্তা করে সরকার অনুদান তহবিল গঠনের চিন্তা করছে।

সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে সরকার করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা মোকাবেলায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এ ভাইরাস সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করা। এ জন্য অনেকগুলো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে চিকিৎসাখাতে ব্যয় বাড়াতে হচ্ছে। এর আগে এ ধরনের ভয়াবহ অবস্থায় সরকারকে পড়তে হয়নি। চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম গ্রামীণ পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। শহর এলকার চেয়ে গ্রামীণ এলাকায় করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। এতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জন্য বাড়তি চিন্তা করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত তহবিলে মূলত বেসরকারি খাত থেকে অর্থ সহায়তা নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়ে যে কেউ এই তহবিলের অনুদান প্রদান করতে পারবেন।

সূত্র জানায়, করোনার ভাইরাসজনিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব হবে না। এক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ জরুরি। ফলে বেসরকারি খাতে অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি রয়েছে তারা করোনার পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারকে সহায়তা করতে পারে। শুধু আর্থিক সহায়তাই নয়, প্রয়োজনীয় বিভিন্ন লজিস্টিক সহায়তাও গ্রহণ করা হবে।

এই তহবিলে অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে অনলাইন বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। একই সাথে ক্ষুদ্র সহায়তাকারীরা মোবাইল ব্যাংকিং-বিকাশ, রকেট, নগদ এর মাধ্যমেও অর্থ সহায়তা পাঠাতে পারবেন। অনুদানের অর্থ আয়করমুক্ত হিসেবে বিবেচিত হবে। অর্থ সহায়তার পাশাপাশি কেউ যদি চিকিৎসা সরঞ্জাম দিতে চায় তাও গ্রহণ করা হবে।

সূত্র জানায়, গ্রামীন এলাকার পাশাপাশি শহর এলাকায় বসবাসরত দরিদ্র জনগোষ্ঠির কোনো কাজ থাকবে না। শহরের এই প্রান্তিক জনগোষ্ঠির পাশেও থাকতে হবে।  ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার। চালু করা হবে ব্যাপকহারে ওএমএস কার্যক্রম। দেওয়া হবে ১০ টাকা কেজি দরে চাল। এ জন্য সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি দিতে হবে। কিন্তু ব্যাপকহারে যদি করোনা ছড়িয়ে পরে তখন এই ক্ষতি মোকাবেলায় বেসরকারিখাতে সহায়তার প্রয়োজন পড়বে।

এ জন্য সরকারেরর পক্ষ থেকে বেসরকারি খাতের সহায়তা কামনা করা হবে। তাদের বলা হবে অনুদান তহবিলে তারা যেন অর্থ দান করে। এক্ষেত্রে নতুন এক তহবিল গঠন করা হতে পারে। অথবা প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে এই অনুদানের অর্থ জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হতে পারে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে থেকে খুব শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।

 

ঢাকা/হাসনাত/আমিনুল