জাতীয়

পত্রিকা পাঠেও ব্যতিক্রম চিত্র

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ঢাকা নগরীতে লোক চলাচল কমে গেছে। তবে থেমে নেই অনেক সংবাদকর্মী। তারা ছুটে চলছেন অবিরাম। অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় থাকলেও ছাপা পত্রিকার চিত্র উল্টো।

বাংলাদেশের প্রায় সব ছাপা পত্রিকাই কঠিন সময় পার করছে। এর পেছনে কাজ করছে নানা রকমের গুজব। বলা হচ্ছে, পত্রিকার কাগজের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াচ্ছে।

তবে পত্রিকা মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কাগজের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায় না। পত্রিকা ছাপানো ও বিলি করার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা যথেষ্ট সুরক্ষিত থেকে কাজ করেন। তাই অধিকাংশ পত্রিকা প্রকাশ অব্যাহত আছে। তবে পত্রিকার সার্কুলেশন কমেছে অনেক।

পত্রিকার পাঠকদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে নেওয়া হয়েছে নানা রকমের উদ্যোগ। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে বিভিন্ন সংস্থা।

রাজধানীর ইত্তেফাক মোড়ে দৈনিক ইনকিলাব ভবনের সামনে দেখা গেছে, দেয়ালে সাঁটানো পত্রিকা পড়ার জন্য ফুটপাতে দাঁড়ানোর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে পত্রিকা পড়ছেন পাঠকরা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রফিক মোহাম্মদ বলেছেন, এ ধরনের উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানুষ যেভাবে সচেতন হয়েছে, এ সচেতনতা যেন অব্যাহত থাকে।

এ প্রসঙ্গে ইনকিলাবের সহ-সম্পাদক আবু জাফর সোহেল বলেন, আমরা কাজ করছি শুধু পাঠকদের সন্তুষ্টি ও সচেতনতার জন্য। আমার ধারণা, পাঠকরা পত্রিকা পড়ে করোনাভাইরাস সম্পর্কে আরো বেশি সচেতন হয়েছেন। ইনকিলাব ভবনের সামনে পত্রিকা পড়ার যে ব্যবস্থা করা হয়েছে, অন্যান্য স্থানেও এ ধরনের ব্যবস্থা করা উচিত। ঢাকা/মামুন/রফিক