করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটি থাকলেও রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারের চিত্র ভিন্নরকম। বাজার করতে এসে নিরাপদ দূরত্বের তোয়াক্কা করছেন না অনেকেই।
বাজারে কেউ কেউ হাতে গ্লাভস না পড়ে শুধু মুখে মাস্ক পড়ে এসেছেন। অনেকে আবার একে অপরের পাশে দাঁড়িয়ে বাজার করছেন। নিরাপদ দূরত্ব দাড়িয়ে বাজার করছেন না অনেকেই।
বুধবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও রায়েরবাগে কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি বাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
করোনা সংক্রামণ ঠেকাতে মানুষের সামাজিক দূরত্ব ৩ ফুট বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাট-বাজারে সামাজিক দূরত্ব অনেকেই মানছেন না।
ক্রেতারা বলছেন, তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে জানেন। কিন্তু কেনাকাটা করতে এসে পরিস্থিতির কারণে ঠিকমতো দূরত্ব রক্ষা করতে পারেন না বলে দাবি করেন।
বিক্রেতারা বলছেন, দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হলেও কেউ মানছেন না। রায়েরবাগ কাঁচাবাজারে বাজার করতে এসেছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জুলকার নাইন। তিনি বলেন, সাধারণ ছুটির ঘোষণার আগে কিছু বাজার করেছিলাম সেগুলো দিয়ে কয়েকদিন চললাম। ফ্রিজে কোনও মাছ, মাংস, কাঁচাবাজার নেই। তাই আজ বাধ্য হয়ে বাজারে এসেছি।
তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। সরকারের আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন।
বাজারে কয়েকজন ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয় জানেন কিন্তু বিক্রি-কেনাকাটা করতে এসে ঠিক মতো সে দূরত্ব রক্ষা করতে পারছেন না। আবার বিক্রেতারা দূরত্ব বজায় রাখার কথা বললে ক্রেতা সমাগম বেশি থাকায় একে অপরের সঙ্গে দূরত্ব মানছেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাতুয়াইল শিশু মাতৃ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এর শিশু-কিশোর বিশেষজ্ঞ ডা. ইমতিয়াজ জামিল বলেন, কোভিট-১৯ প্রতিরোধে কয়েকটি ধাপ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। একজন মানুষ অন্য মানুষ থেকে ৩ ফুট দূরত্বে থাকতে হবে। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে ৩ ফুট দূরত্ব থাকতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দিনরাত কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আসাদ/সাইফ