জাতীয়

সরবরাহ কম থাকায় ফলের বাজার চড়া

বৈশাখ দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। আসছে মধুমাস। গ্রীষ্মের নানা ফল বাজারে আসতে শুরু করেছে। রসালো ফলের মধুতে ডুবে থাকবেন ফলপ্রেমীরা। এটাই চলে আসছে বাঙালির জীবনে। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে ফলের বাজারে। রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মৌসুমি ফল বেশ কার্যকর। আর এসময়ে ফলের চাহিদা বেড়েছে। তবে সরবরাহ কম থাকায় ফলের বাজার চড়া।

বুধবার সকালে রাজধানীর অন্যতম বড় ফলের আড়ৎ যাত্রাবাড়ী, বাদামতলী গিয়ে দেখা যায় একেবারে ভিন্ন চিত্র। যেখানে এ সময় থাকার কথা ফলের স্তুপ, সেখানে তেমন মৌসুমী ফল নেই এবার। তবে ব্যবসায়ীদের আশা, শিগগিরই পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে।

পাইকারী বাজারে রসালো ফল তরমুজ আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা, বেল আকার ভেদে প্রতি পিস ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, ১৬৫ টাকার আঙ্গুর এখন ২১০ টাকা, ১০০ টাকার আপেল ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে কমলা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, ১০৫ টাকার মাল্টা ১২০ টাকা। ১৮০ টাকার আনার ৩২০, পেয়ারা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, বরই ৪০ থেকে ৫০ টাকা,  আনারস প্রতি পিস ১৫ থেকে ২২ টাকা।  প্রকারভেদে খেজুরের দাম কেজিতে ৪০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে ১৫৫ টাকার নাশপাতি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। খুচরা বাজারে এসব ফলের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেশি নেয়া হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে দোকানে বসে ছিলেন মো. বিল্লাল। তিনি বলেন, মাল আসছে না, দামও বাড়তি। আগে যেখানে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার ফল বিক্রি করতাম। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার। করোনার কারণে মানুষ বাড়ি চলে গেছে। দোকানপাট খুলতে দেওয়া হচ্ছে না। বর্ডার বন্ধ, বাইরে থেকে মাল আসছে না। আবার গাড়ি ভাড়া বাড়তি। সবকিছু মিলিয়ে ফলের দাম বাড়তি।

রাজধানীর বাদামতলী থেকে ফল কিনেছেন ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেন। নিয়ে যাচ্ছেন নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে। মনির জানান, মালের দাম বেশি। তবে করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের ফলের চাহিদা বাড়ছে। চাহিদা বেশি আবার সরবরাহ কম। এজন্য ফলের বাজার চড়া। ভ্যানে ফল বিক্রি করা নজরুল ইসলাম জানান, আড়তে মাল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার দামও বেশি। ঢাকা/মামুন খান/সাজেদ