জাতীয়

করোনায় বাজার মনিটরিংসহ গুচ্ছ উদ্যোগ পুলিশের

করোনা বিস্তার রোধে শুরু থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। পুলিশের দুই লাখের বেশি সদস্যদের একটাই লক্ষ্য দেশ ও দেশের নাগরিকদের পাশে থেকে নিরন্তন সেবা প্রদান করা।

আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং আপদকালীন সময়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল)  ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার থেকে জানানো হয়, করোনার প্রভাব বিস্তারে মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক। মানুষে ইতিবাচক মানসিকতা আনতে পুলিশকে বেশ কিছু উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।

এর মধ্যে হলো অবৈধ মজুদ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য বাজার মনিটরিং। সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে পুলিশী তৎপরতা বৃদ্ধি, করোনা গুজব প্রতিরোধের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে মনিটরিং। সম্মানিত নাগরিকদের মধ্যে মাস্ক ও গ্লাভস বিতরণ। বিভিন্ন উপায়ে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা এবং মানুষকে সচেতন করা। হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করতে পুলিশের চলমান অভিযান পরিচালনা। হাটবাজার, পতিতাপল্লীসহ অন্যান্য স্থানে করোনাবিস্তার রোধে এলাকাভিত্তিক বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

গণপরিবহন বন্ধের কারণে যাতায়াতের সমস্যায় পড়া চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পরিবহণ সুবিধা চালুকরণ। হাত ধোয়ার বিষয়ে সচেতন করতে পুলিশের হাত ধোয়া কার্যক্রম পরিচালনা। পুলিশ কর্তৃক হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি এবং তা পিছিয়ে পড়া সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ। বিদেশফেরত প্রবাসী নাগরিকদের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয়করণ। বিমানবন্দর, স্থলবন্দরসহ দেশের অন্যান্য প্রবেশদ্বারসমূহে থার্মাল স্ক্যানার স্থাপনসহ সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ।

এছাড়া, পুলিশ কর্তৃক পরিচ্ছন্নতার জন্য জীবাণুনাশক ছিটানোর কার্যক্রম। পুলিশের ব্যবহৃত গাড়ি ও অফিস আঙিনা জীবাণুমুক্তকরণ। বাসায় অবস্থানরত ও ভাসমান মানুষের মধ্যে বিশেষ পরিস্থিতিতে পুলিশের খাবার বিতরণ। পুলিশ সদস্যদের জন্য কোয়ারেন্টাইন সুবিধা চালুকরণ। পুলিশ কর্তৃক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিংবা করোনাভাইরাস সন্দেহে মৃত ব্যক্তির দাফনে উপস্থিতি ও প্রয়োজন অনুসারে অন্যান্য সাহায্য প্রদান।

পুলিশ সদস্য ও পুলিশ ইউনিটসমূহের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ। করোনা প্রতিরোধে কুইক রেসপন্স টিম গঠন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বহুল জনসমাগম স্থানসমুহ থেকে মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বিশেষ করে হিজড়া ও বেদে সম্প্রদায়ের জন্য সুরক্ষা উপকরণ ও খাবার বিতরণ। ঢাকা/মাকসুদ/জেনিস