জাতীয়

প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না কেউ

করোনাভাইরাস রোধে সরকারের নেওয়া কঠোর পদক্ষেপের কারণে পুরো রাজধানীর সড়ক মহাসড়কে নেই কোনও গণপরিবহন।  গত দুইদিন আগেও ব্যক্তিগত কিছু পরিবহন  দেখা গেলেও আজ তেমন দেখা যায়নি।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, পান্থপথ ও সংসদ ভবন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার প্রত্যেক মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট।  পথচারীরা বের হলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জিজ্ঞাসা করছেন।  তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় গতকাল এবং আজ পথচারীদের রাস্তায় তেমন দেখাই যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হওয়ার পর থেকে সবার মনে একটা ভয় কাজ করছে।  তাই প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছেন না।

রাজধানীর অভিজাত শপিং মল থেকে শুরু করে গলির মুদির দোকান বেশির ভাগই বন্ধ।  ধানমন্ডির কয়েকটি মহল্লা ঘুরে দেখা গেছে, দুই থেকে তিনটি দোকান খোলা, বাকি সব বন্ধ। কাঁচাবাজারগুলো খোলা থাকলেও সেখানে বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ, মাছ ব্যবসায়ীরাও বসেছেন কম। যারাও এসেছেন তাদের ডালায় মাছ ছিল খুবই কম।

পথচারী মোহাম্মদ আবদুল হক বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে প্রশাসনের নির্দেশে বাসা থেকে তেমন বের হচ্ছি না। বিশেষ প্রয়োজনে আজ বের হলাম।  ওষুধ কিনতে হবে তাই বের হয়ে দেখি রাস্তাঘাট একদম ফাঁকা।

তিনি বলেন, এমনভাবে ঘর বন্দি থাকা খুব কষ্টের।  তারপরেও সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে আমাদের সবার জন্য ভালো।  আমাদের জীবন সবার আগে, বেঁচে থাকলে বাইরে আবারো বের হওয়া যাবে।

ধানমন্ডির বিভিন্ন মহল্লায় কিছুসংখ্যক রিকশাচালক রাস্তায় বের হয়েছেন।  তবে অধিকাংশ রিকশাচালকের মুখেই আছে মাস্ক। রিকশাচালকরা জানান, বাধ্য হয়ে তারা রাস্তায় নেমেছেন।  কিন্তু কোনও যাত্রী নেই। দু—একজন রিকশাওয়ালা বলছেন সরকারের সিদ্ধান্ত ঠিকই আছে, তবে তাদের যদি সরকারিভাবে কিছু সহায়তা দেওয়া যেত তাহলে ভালো হতো।

এদিকে একাধিক পুলিশ সদস্য বলেন, গতকাল থেকে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর অবস্থানে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। পুলিশের পাশাপাশি র‍্যাব ও সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছেন।  মানুষ ভয়েও এখন বের হচ্ছেন না। হাসিবুল/সাইফ