জাতীয়

৫০ লাখ পরিবার পাবে ৩০ কেজি করে চাল, অবৈধ কার্ড পেলে ব্যবস্থা

করোনাভাইরাসের ঝুঁকির পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ গরিব মানুষ। এসব মানুষদেরকে স্বল্প মূল্যে চাল দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৩০ কেজি করে ৫০ লাখ পরিবারকে এ চাল দেওয়া হবে। প্রতি কেজি চালের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০টাকা। ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’র আওতায় ডিলারদের মাধ্যমে এ চাল দেওয়া হবে।

এদিকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় আরও বেশি মানুষ যাতে এই সুবিধা পায়, সেজন্য দেশের সব জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে ওএমএস প্রাপ্তদের তালিকা হালনাগাদের জন্য গত ১ এপ্রিল চিঠি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

চিঠিতে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান খাদ্য সচিব প্রায় তিন মাস আগে সব জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে ওএমএস প্রাপ্তদের তালিকা হালনাগাদ করার জন্য পত্র দিয়েছিলেন। আপনাদের কাছে আমার পুনঃনির্দেশনা, যদি কোন ডিলার, কোন মেম্বার বা কেউ যদি বেনামী কার্ড সংরক্ষণ করে থাকেন, তবে আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট তা জমা দিবেন এবং স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতিমালা অনুসরণ করে রিপ্লেসমেন্ট করবেন।  এই নির্দেশনার পরেও যদি কোন অবৈধ কার্ড ধরা পড়ে, তবে সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ’

বিষয়টি জেলা প্রশাসকদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অবহিত করতে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমান বিশ্বের ১৯৯ টি দেশের মতো বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দিয়েছে এবং এর প্রতিরোধে সরকার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ওএমএসের চালের মূল্য প্রতি কেজি ১০ টাকা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন। এ ঘোষণার  পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ ও খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত ওএমএসের চালের গুদাম মূল্য ২৮ টাকার পরিবর্তে ৮ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৩০ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।’

খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় প্রতি মাসে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে ১০ টাকা করে (প্রতি কেজি) প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল বিতরণ করা হবে। এপ্রিল মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত চাল বিতরণ করা হবে। প্রয়োজনে সময় আরো বাড়ানো হবে। এই কর্মসূচীর জন্য বছরে ৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন চাল দরকার হবে।

২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুড়িগ্রামে হতদরিদ্রদের একটি কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। এরই নাম ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’। এই কর্মসূচির স্লোগান- শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ।

এবিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, হতদরিদ্রদের ১০টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অবৈধ কার্ড জনপ্রতিনিধি-ডিলারসহ কারও কাছে থাকলে তা ৫ এপ্রিলের মধ্যে জমা দিতে হবে। ৫ এপ্রিলের পর কোনো অবৈধ কার্ড ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে আইনানুগগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

ঢাকা/আসাদ/সাজেদ