জাতীয়

কৃষি উৎপাদন ও বিপণন অব্যাহত রাখতে ব্যবস্থা নিয়েছে মন্ত্রণালয়

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কৃষি উৎপাদন ও বিপণন অব্যাহত এবং ফলন বাড়াতে অবাধে কৃষি যন্ত্রপাতি, সার, পণ্য পরিবহনসহ নানা ব্যবস্থা নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থাসমূহকে নিম্নোক্ত উদ্যোগ বাস্তবায়ন ও পালন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রতিপালন করে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। বসতবাড়ির আঙিনাসহ সকল পতিত জমিতে শাকসবজি, ফল ও অন্যান্য ফসলের চাষ করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে।

সরকারঘোষিত সাধারণ ছুটির সময়েও জরুরি পণ্য বিবেচনায় সার, বালাইনাশক, বীজ, সেচযন্ত্রসহ সকল কৃষিযন্ত্র (কম্বাইন হারভেস্টর, রিপার প্রভৃতি), খুচরা যন্ত্রাংশ, সেচযন্ত্রসহ কৃষিযন্ত্রে ব্যবহৃত জ্বালানি/ডিজেল, কৃষিপণ্য আমদানি, বন্দরে খালাসকরণ, দেশের অভ্যন্তরে সর্বত্র পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় যথারীতি অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঢাকার শেরেবাংলা নগরের ‘সেচ ভবন’ প্রাঙ্গণে কৃষকের উৎপাদিত নিরাপদ সবজি সরাসরি বিক্রয়ের জন্য স্থাপিত প্রতি শুক্র ও শনিবারের ‘কৃষকের বাজার’-এ আসা কৃষিপণ্যবাহী গাড়ি ও সংশ্লিষ্ট কৃষকদের চলাচল অব্যাহত থাকবে।সকল কৃষিপণ্যবাহী গাড়ি চলাচল এবং এ সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিদের চলাচল অব্যাহত থাকবে।কৃষি মন্ত্রণালয় এবং এর দপ্তর/সংস্থা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে।

এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কৃষক যাতে তার উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করে ন্যায্যমূল্য পেতে পারে, সে লক্ষ্যে ত্রাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণযোগ্য খাদ্য সামগ্রিতে আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য অন্তর্ভুক্তকরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে পত্র প্রেরণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতরণযোগ্য ত্রাণ সামগ্রীতেও নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য অন্তর্ভুক্তকরণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঢাকা/আসাদ/সাজেদ