জাতীয়

ত্রাণের জন্য বিক্ষোভে রাজনৈতিক ইন্ধন দেখছেন তথ্যমন্ত্রী

দেশের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণের জন্য বিক্ষোভের যেসব খবর গণমাধ্যমে আসছে এগুলোর নেপথ্যে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলে সরকারের কাছে তথ্য আছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজের সরকারি বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজশাহীতে একজন ছাত্রদলের নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ফৌজদারী অপরাধে। ফৌজদারি অপরাধে কাউকে গ্রেপ্তার কি এই পরিস্থিতিতে সরকার বন্ধ রাখবে? গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ত্রাণের জন্য বিক্ষোভের খবর গণমাধ্যমে আপনারা দেখতে পেয়েছেন। কিন্তু আজকে গণমাধ্যমেই খবর প্রকাশিত হয়েছে এবং সরকারের কাছে গোয়েন্দা তথ্যও আছে এই বিক্ষোভের অনেকগুলোর পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন ছিলো। লোক ভাড়া করে এনে সংগঠিত করে এই ধরনের বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে।’

সরকার দুর্দশায় থাকা মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য বদ্ধপরিকর জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় নয়, সরকারের পুলিশ বাহিনী, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশনের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে। ত্রাণের জন্য হটলাইন খোলা হচ্ছে। এই ব্যবস্থা আশপাশের কোন দেশে করা হয়েছে আমার জানা নেই। এসব পদক্ষেপ নেওয়ার পরও বিএনপির পক্ষ থেকে সমালোচনা করা হয়!’

ত্রাণ নিয়ে অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে ৭০ হাজারের বেশি স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি আছে। সেখানে কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে একটি ঘটনাও কাম্য নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কঠোর হাতে দমন করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন এবং যেখানেই এই ধরনের ঘটনা পাওয়া যাচ্ছে, সেখানেই সরকার-প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।’

“ত্রাণ নিয়ে যারা নয়-ছয় করবে তাদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচার হবে বলে প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে বলেছেন। নিয়মিত মামলার পর আরো বিস্তারিত বিচার হবে। এখানে কে কোন দল-মত সেটি সরকার দেখছে না। সরকার এই ধরনের অনিয়ম বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর।”

মন্ত্রী বলেন, ‘ত্রাণ নিয়ে অনিয়মের খবরে গ্রাম পর্যায়ে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজনের নাম এসেছে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখানে বিভিন্ন দলের সমর্থকরা যুক্ত। গত কয়েকদিনে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে বিভিন্ন দলের সমর্থকরা এই ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এখানে বিএনপিরও বেশ কয়েকজন আছে। তবে সরকার কে কোন দলের, কোন মতের সেটি না দেখে ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে নিচ্ছে, নেবে।’

 

পারভেজ/জেনিস