জাতীয়

ঈদের জামাত হবে মসজিদে: ধর্ম মন্ত্রণালয়

স্বাস্থবিধি মেনে শর্ত সাপেক্ষে ঈদগাহ কিংবা উন্মুক্ত জায়গার পরিবর্তে মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠানের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।  প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সন্ধ্যায় ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে সরকারের বর্তমান বিধি বিধান মেনে উন্মুক্ত স্থানে ঈদের বড় জমায়েত পরিহার করে সীমিত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী ১৭ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বিশেষ এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইসলামী শরিয়তে ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে।  কিন্তু বর্তমানে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হলো।  প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে শর্ত আরোপ করে বলা হয়েছে, ইদের নামাজের জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না।  নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিস্কার করতে হবে।  মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।  মসজিদে ওযুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।  মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।  প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে অজু করে মসজিদে আসতে হবে।  অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।  ঈদের নামাজের জামাতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।  মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।  এক কাতার পরপর কাতার করতে হবে।  শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনও অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামাতে অংশ নিতে পারবেন না। সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত কল্পে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।  মসজিদে জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।  করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করা যাচ্ছে।  খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।

নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘন হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।  প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

নঈমুদ্দীন/সাইফ