ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এরইমধ্যে মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সন্ধ্যার পর এটি ‘সুপার সাইক্লোনে’ রূপ নেবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতির অংশ হিসাবে সোমবার (১৮ মে) বিকেলে সচিবালয়ে এক অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার প্রেক্ষাপটে ৫১ লাখ ৯০ হাজার মানুষের জন্য ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল থেকে মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার কাজ শুরু হবে।
‘আমাদের সিপিপি (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) ভলান্টিয়ারদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তারা যেন আগামীকাল সকাল থেকে সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার কাজ করেন। এ কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
করোনা সংক্রমণের কারণে প্রত্যেকটি আশ্রয়কেন্দ্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বলা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসবেন তাদের মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মে) শেষরাত থেকে বুধবার (২০ মে) বিকেল অথবা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। রাইজিংবিডি/নঈমুদ্দীন/জেডআর