জাতীয়

১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ মোকা‌বিলায় মঙ্গলবার (১৯ মে) রাত থেকে বুধবার (২০ মে) সকাল পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকার  ১০ লাখের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান কর‌ছেন। বিকেল পর্যন্ত উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ২০ লাখের মতো মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল বুধবার (২০ মে) সাংবা‌দিক‌দের এ তথ্য জানান।

তি‌নি বলেন,  ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা নাগাদ আমাদের উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে। এ বছর স্কুল, কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুালোকেও আশ্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে। এখন তো বাড়ির পাশেই স্কুল, বিকেল পর্যন্ত তো লোকজন আসতে থাকবেই। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে। খাবার-দাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সি‌নিয়র স‌চিব বলেন, সাতক্ষীরায় আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার, পটুয়াখালীতে ৩ লাখ ২৩ হাজার। খুলনা ও পটুয়াখালীর যে এলাকাগুলো বেশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেই এলাকাগুলোর আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বেশি লোক আসছে।

আশ্রয়কেন্দ্র ১২ হাজার ৭৮টি থেকে বাড়িয়ে ১৩ হাজার ২১৫টি করা হয়েছে বলেও জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।

শাহকামাল জানান, সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোংলা বন্দর থেকে ২৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। এটি এখন পর্যন্ত শক্তিশালী।

তি‌নি বলেন, ‘আম্ফান যদি সন্ধ্যার মধ্যে উপকূল অতিক্রম শুরু করে তবে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা মানুষ হয়তো কাল সকাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারবে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। নঈমুদ্দীন/এসএম