জাতীয়

\`তারাবি পড়তে পড়তে দেখি সব পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে’

রাতে তারাবির নামাজ আদায় করছিলেন বাগেরহাট সদর উপজেলা ভদ্র পাড়া গ্রামের লুৎফার রহমান।  নামাজ শুরুর কিছুক্ষণ পর সালাম ফিরিয়ে বাইরে তাকিয়ে দেখেন পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বাড়ির উঠান।

লুৎফার রহমান বলেন, ‘নামাজ শেষ করে রাস্তার দিকে ছুটে আসি। এসে দেখি ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে রাস্তা ভেঙে গ্রামের ভেতরে হু হু করে পানি ঢুকে যাচ্ছে। তখন এক দৌড়ে বাড়িতে যাই। ততক্ষণে পানি আরও বৃদ্ধি পায়। পরিবারের অন্যদের নিয়ে পানির মধ্যেই দ্রুত এলাকার অন্য এক বাড়িতে যাই।’

তিনি জানান, পানি বাড়লেও ঘরের পাটাতনের মুখে আশ্রয় নেওয়ার কথা বলছিলেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু মনে পড়ে সিডরের সময়ের কথা। ওই সময় পাটাতনে আশ্রয় নিয়ে পানিতে ডুবে অনেকেই মারা গিয়েছিলেন। এই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি সবাইকে নিয়ে যেদিকে পানি ওঠার আশঙ্কা কম সেদিকে এক বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন।

লুৎফার রহমান বলেন, ‘সেহরির একটু আগে যখন বাতাসের গতি কমে, পানিও একটু নামতে শুরু করে, তখন সবাইকে নিয়ে আবার বাড়িতে আসি। কিন্তু ততক্ষণে সর্বনাশ যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। বাড়িতে গিয়ে দেখি ফ্রিজ আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র পানিতে ভিজে গেছে। ঘরের মধ্যে খাট পর্যন্ত পানি উঠে গেছে।’

রোজা থাকার অনেক ইচ্ছা থাকলেও গতকাল আর রোজা রাখা হয়নি। চুলোয় পানি উঠে যাওয়ায় রান্নাও সম্ভব হচ্ছে না। শুকনো খাবার খেয়ে সকাল থেকে বাড়ির সবাই আছে। ঢাকা/সাওন/ইভা