জাতীয়

হাতিরঝিলে নেই ঈদের আমেজ

অন্যান্য বছর ঈদের দিন দুপুরের পর থেকেই রাজধানীর জনপ্রিয় বিনোদন স্পট হাতিরঝিলসহ অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্রে ভিড় দেখা যেত। তবে এবার করোনোভাইরাসের কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেখা গেছে ভিন্ন রূপ। ঈদের দিনেও নেই ঈদের আমেজ।

সোমবার (২৫ মে) দুপুরের পর হাতিরঝিলে কিছু মানুষের উপস্থিতি দেখা গেলেও তা অন্যান্য বছরের ঈদের দিনের তুলনায় খুবই কম ছির। তবে শেষ বিকেলে ভিড় কিছুটা বাড়ে। একই সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাও বেড়ে যায়। কোথাও কোথাও সামান্য যানজট চোখে পড়ে। 

এদিকে, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের পদচারণা কমে যাওয়ায় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে হাতিরঝিল। জনপ্রিয় এ পর্যটন স্পটের সৌন্দর্য বেড়েছে। ঝিলের পানি স্বচ্ছ রূপ ধারণ করার পাশাপাশি দূর হয়েছে ঝিলের পানির দুর্গন্ধ ও বেড়েছে সবুজের সমারোহ।

ঢাকার মগবাজার থেকে ওবায়দুল হক হাতিরঝিলে এসেছেন পরিবার নিয়ে। তিনি রাইজিংবিডি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে মাসব্যাপী লকডাউনে পরিবারের সবাই বেশিরভাগ সময় বাসাতেই ছিল। হাতিরঝিলের কাছে বাসা, তাই ঝুঁকি নিয়ে হলেও বের হয়েছি। তবে বেশিক্ষণ থাকব না। কারণ, সব সময় ভয় কাজ করে।’  

হাতিরঝিলে যারা বেড়াতে এসেছেন তাদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক দেখা গেছে। তবে সামাজিক দূরত্ব ছিল না। বেশিরভাগ মানুষই আশপাশের এলাকা থেকে এসেছেন।

হাতিরঝিলে বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে আসা আসেফ বলেন, ‘বন্ধুরা সবাই মিলে আড্ডা-গল্প করে সময় কাটাতে হাতিরঝিলে এসেছি। অনেক দিন পর কয়েকজন বন্ধুর সাথে আজ দেখা হলো। ঝুঁকি নিয়েই বের হয়েছি। আর কত বাসায় থাকা যায়?’

রাজধানীর অন্যান্য বিনোদন স্পটে আজ তেমন ভিড় ছিল না। ঘরেই সময় কাটিয়েছেন অধিকাংশ মানুষ।

রাজধানীবাসীর বিনোদনের জন্য হাতিরঝিলকে সাজিয়ে-গুছিয়ে ২০১৩ সালের ২ জানুয়ারি উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ঢাকা শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত এই মনোরম স্থানটির চারপাশের এলাকাগুলো হলো তেজগাঁও, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, নিকেতন, মগবাজার।

 

ঢাকা/এম এ রহমান/রফিক