জাতীয়

ভাড়া ‘পুনর্বিন্যাস’ করে সড়কে নামতে চান বাস মালিকরা 

টানা দুই মাসেরও বেশি সময় সাধারণ ছুটির পর আগামী ৩১ মে থেকে খুলছে সব সরকারি অফিস। ছুটি শেষে শর্ত সাপেক্ষে উড়োজাহাজ ও গণপরিবহন চালুর অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবকিছু বিবেচনায় ‘ভাড়া পুনর্বিন্যাস' করে সড়কে গাড়ি নামাতে চান বাস মালিকরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় গণপরিবহন চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে এমনটাই জানান বাস মালিক ও পরিবহন নেতারা।

কোন কোন রুটে গাড়ি চলবে এবং কতগুলো গাড়ি চালানো হবে এমন প্রশ্নের বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ রাইজিংবিডিকে বলেন, আজ শবেমাত্র প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। আমরা শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে একটা বৈঠক করবো। সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

বাস চলাচলের কোনো সময় নির্ধারণ করা আছে কী-না এমন প্রশ্নে বিষয়ে তিনি বলেন, না এখনো কোনো সময় নির্ধারণ করা হয়নি। তবে আমরা আলোচনার মাধ্যমে একটা সিদ্ধান্ত নেবো।

স্বাস্থ্যবিধি কীভাবে মানা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। তাই আমরা সব পরিবহনের মালিকদের নির্দেশনা দেবো, তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাস চলাচল করায়। আমরা চাই সরকারের দেওয়া সব নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে।

স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য স্বাস্থ্য উপকরণ গাড়িতে রাখা হবে কীনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য উপকরণ তো রাখতেই হবে। এখন আসলে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। আগামীকাল বৈঠক সেখানেই এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার বলেছে সীমিত আকারে যাত্রী পরিবহন করতে। তাই নতুন ভাবে ‘ভাড়া পুনর্বিন্যাস’করে বাস চালাতে চাচ্ছেন মালিকরা। এজন্য আমাদের বৈঠকে এ বিষয়েও আলোচনা করতে হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাকেশ বলেন, সীমিত পরিসরে গাড়ি চালাতে গেলে  ভাড়ার হার কী রকম হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে টার্মিনাল থেকে যাত্রী ওঠানামা করা হবে, সেসব বিষয়ে আলোচনা করতেই কালকের বৈঠক। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক যাত্রী নিয়ে চলতে গেলে ‘ভাড়া পুনর্বিন্যাস' করার একটা বিষয় থাকে।

কতো আসনের গাড়িতে কতজন যাত্রী যাতায়াত করবে এমন প্রশ্নে সেন্টমার্টিন পরিবহনের মালিক ও কুমিল্লা বাস মালিক সমিতির সহ সভাপতি হুমায়ুন কবির রাইজিংবিডিকে বলেন, আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সীমিত আকারে পরিবহন চলাচল করতে পারবে। সেক্ষেত্রে যাত্রীও কম উঠতে পারবে গাড়িতে। যাত্রী যদি কম ওঠে তাহলে ভাড়ার বিষয়েও আমাদের আলোচনা করতে হবে। কেউ লস দিয়ে গাড়ি চালাবে না, এটাই স্বাভাবিক। তবে এসব বিষয়ে আমাদের মালিকপক্ষ সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেই সিদ্ধান্ত নেবে।

সাকুরা এসি বাসের ম্যানেজার মোহাম্মদ মিজান বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গাড়ি চলাচল করানো হবে। আমরা নিজেদের জন্য যেভাবে চিন্তা করি ঠিক তেমনি যাত্রীদের কথাও ভাবি। মালিকপক্ষ শুক্রবার বৈঠক করবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে কিভাবে বাস চলাচল করানো হবে। ওই বৈঠকের পরে ভাড়া বাড়বে কিনা সেটাও জানা যাবে।

 

ঢাকা/ হাসিবুল/এসএম