মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশের এনজিওগুলো বিভিন্ন জেলায় অসহায় মানুষদের প্রায় ২০৮ কোটি টাকার ত্রাণ দিয়েছে বলে জানিয়েছে এনজিওসমূহের সমন্বয়কারী সংগঠন ‘এডাব’।
সোমবার বাংলাদেশে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সংগঠনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা দূর্যোগের শুরু থেকেই এনজিও’রা তাদের সাধ্য মতো করোনা প্রতিরোধে আত্মনিয়োগ করেছে এবং অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এডাব’র পরিচালক একেএম জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এডাব-এর সদস্য সংস্থাসমূহ ছাড়াও দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মরত এনজিওগুলো তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে কাজ করে চলেছে। করোনাভাইরাস সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে এনজিওগুলো সারাদেশে বিপুল সংখ্যক লিফলেট বিতরণ, ব্যনার-বিলবোর্ড স্থাপন, গ্রাম্য হাট ও জনবহুল স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা জীবাণুনাশক স্প্রে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ১৭ টি কমিউনিটি রেডিও’র মাধ্যমে অব্যাহতভাবে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করছে।
'এডাব ও এর সদস্যরা করোনা মহামারিতে ২৩ মার্চ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত মোট ২৫.৩১ কোটি টাকা জরুরি ত্রাণ সহায়তা কাজে ব্যয় করেছে। যার মধ্যে রয়েছে ১৩.০৬ কোটি টাকা নগদ সহায়তা, বাকীটা খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী সহায়তা। অন্যদিকে বিডিসিএসও প্রসেস এর হিসাব অনুযায়ী বিদেশী সহায়তাসহ ২৫ মে পর্যন্ত এনজিওদের ত্রাণ সহায়তার পরিমান প্রায় ১৫৬ কোটি টাকা।
এর আগে ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনাকারী এনজিওগুলো প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২৭ কোটি টাকা দেয়।
শুধু অর্থ বা ত্রাণ সহায়তা নয় আইসোলেশান সেন্টার তৈরী, চিকিৎসকদের জন্য ভৌত সহায়তা, যানবাহন সহায়তা ও বিভিন্ন স্থানীয় হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সামগ্রীও প্রদান করেছে বলো এডাব জানায়।
এডাব আরও বলছে, ক্রমহ্রাসমান বৈদেশিক সাহায্য ও দীর্ঘদিন স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এনজিওরা নিজেরাই অর্থসংকটে আছে। তারপরও মানবিক দূর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর স্বেচ্ছা প্রণোদনা ও দায়বদ্ধতা থেকেই তারা সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছে, যা টাকার অংকে মুল্যায়ন করা যায় না। এনজিওরা সবসময়ই মাঠপর্যায়ে উন্নয়নকাজে সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা ও সমন্বয়ের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। করোনা’র মত মহামারিতেও প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন এর সুষ্ঠু সমন্বয় ও সম্মিলিত প্রয়াস। ঢাকা/হাসান/সাজেদ