জাতীয়

আগস্টের মধ্যেই বাণিজ্য চুক্তি করবে বাংলাদেশ ও ভুটান

অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) চুক্তি করতে চলেছে বাংলাদেশ ও ভুটান। এই চুক্তির রূপরেখা প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। উভয় পক্ষ পিটিএ সম্পাদনে জন্য ঐক্যমতে পৌঁছেছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং ও কেবিনেটের অনুমোদনের পর ৩০ আগষ্ট ২০২০ তারিখের মধ্যে উভয় দেশ এই দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। উভয় দেশের বাণিজ্য মন্ত্রী এই  পিটিএ তে স্বাক্ষর করবেন।

আজ ১৬ জুন ২০২০ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে দ্বিতীয় অগ্রাধিকারমূলক দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের লক্ষ্যে একটি ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় বাংলাদেশ পক্ষের ১০ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) শরিফা খান। ভুটানের পক্ষে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রেড এর মহাপরিচালক সোনম তেনজিন।

উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে পিটিএ সম্পাদনের জন্য পিটিএ টেক্সট, রুলস অব অরিজিন, প্রোডাক্ট লিষ্ট ইত্যাদি চূড়ান্ত করা হয়।

ভুটান বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে। এ কারণে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে সুসম্পর্ক বিদ্যমান। বিশ্বায়নের দ্রুত গতি আর বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আলোচনায় স্থবিরতার কারণে বিশ্বের সকল দেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের নীতি অনুসরণ করছে। এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশও ভুটান, নেপাল, ইন্দোনেশিয়াসহ বেশকিছু দেশের সঙ্গে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত: দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২৬.৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার; তা ক্রমান্বয় বেড়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৭.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়। বাংলাদেশ থেকে ভূটানে মূলত তৈরি পোষাক, খাদ্য সামগ্রী, ঔষধ, গৃহসজ্জা সামগ্রী, ইলেকট্রিক্যালসামগ্রী রপ্তানি হয়। অন্যদিকে, ভূটান থেকে বাংলাদেশে মিনারেলপণ্য সবজি ও ফলমূল, নির্মাণসামগ্রী, বোল্ডার পাথর, পাল্প, ক্যামিক্যালস আমদানি হয়।

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের আলোচনার ফলে বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে এবং ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত বাজার প্রবেশাধিকার সুবিধা পাবে। তবে, পর্যায়ক্রমে এ পণ্য সংখ্যা নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে বৃদ্ধি করা হবে। ভূটান থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় আমদানি করা গেলে আমাদের দেশের জন্য নির্মাণসামগ্রীর ব্যয় হ্রাস পাবে, যা র্মিানখাতের উন্নয়নে সহায়ক হবে। এছাড়া, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য স্বল্পমূল্যে কাঁচামাল আমদানি করা সহজ হবে।

 

ঢাকা/শাহ আলম খান/সাজেদ