ঢাকার উত্তরায় রিজেন্টের মূল কার্যালয়সহ রোগীদের স্থানান্তরের পর উত্তরা ও মিরপুর শাখা হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসার নামে প্রতারণা করায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. সাহেদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখা সিলগালা করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
করোনা টেস্ট ও চিকিৎসার নামে প্রতারণার দায়ে হাসপাতালগুলো দুপুরে সিলগালা করা হয়েছে বলে জানান সারওয়ার আলম। তবে দুটি হাসপাতাল থেকেই রোগী স্থানান্তর করা হয়েছে।
এছাড়া সোমবার রাতেই মো. সাহেদের মালিকানাধীন হাসপাতাল থেকে অননুমোদিত র্যাপিড টেস্টিং কিট ও একটি গাড়ি জব্দ করা হয়। সারওয়ার আলম বলেন, ওই গাড়িতে ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্টিকার লাগানো ছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনের চোখে ধুলো দিতেই ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্টিকার ব্যবহার করতেন মো. সাহেদ।
এদিকে, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা, করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা এবং বাড়িতে থাকা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ায় রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে বলে জানান র্যাব সদর দপ্তরের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম।
মঙ্গলবারই র্যাব বাদী হয়ে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সারওয়ার বিন কাশেম জানান, করোনা রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা ও করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে এক নম্বর আসামি করে মামলা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
করোনার মনগড়া রেজাল্ট দেওয়ার অভিযোগে সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে সেখান থেকে আটজনকে আটক করা হয়।
* ভুয়া রিপোর্টেই রিজেন্টের পকেটে কোটি টাকা
ঢাকা/নূর/জেডআর