জাতীয়

নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখার ঘোষণা

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) রাষ্ট্রীয় কোম্পানি এনডব্লিউপিজিসিএল ও চীনা কোম্পানি সিএমসির যৌথ মালিকানায় বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (রিনিউয়েবল) গঠন করা হয়েছে। এদিন কোম্পানি গঠনে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী উল্লিখিত ঘোষণা দেন।

নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাচ্ছি। আমাদের অকৃষি জমির সংকট রয়েছে। পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে প্রণোদনা অব্যাহত রাখা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড জেনারেশনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নেট মিটারিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। টিআর ও কাবিখার মাধ্যমে সোলার হোম সিস্টেম প্রসার করা হচ্ছে।‘

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, `বাংলাদেশে সরকারি কোম্পানি সম্পর্কে একটি নেগেটিভ ধারণা রয়েছে। সিএমসি প্রমাণ করেছে, সরকারি কোম্পানি মানেই অসফল নয়। ’

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমদ বলেন, ‘আমাদের যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের বিশাল সম্ভবনা রয়েছে। এখানে মিনি অর মাইক্রো জলবিদ্যুৎ হতে পারে কি না, সমীক্ষা করে দেখা উচিত।’

ভার্চুয়াল চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, এনডব্লিউপিজিসিএলের সিইও প্রকৌশলী এএম খোরশেদুল আলম, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এনডব্লিউপিজিসিএল) শেয়ার ৫০ শতাংশ এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ‌্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) শেয়ার থাকছে ৫০ শতাংশ। প্রাথমিকভাবে চারটি প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে—এর মধ‌্যে রয়েছে পাবনা ৬০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প। এটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে উৎপাদনে আসবে। সিরাজগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। ২১৪ একর ভূমি লিজ গ্রহণের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। প্রকল্পস্থানে বিদ্যমান ভূমি ও জীববৈচত্র‌্যের ক্ষতি না করে পানির ওপর পাইলের মাধ্যমে প্যানেল স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

যমুনা ১২৫ মেগাওয়াট সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট পাবনা বেড়া উপজালায় বাস্তবায়ন হবে। এ প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে। পায়রা ৫০ মেগাওয়াট উইন্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প প্রকল্পের উইন্ড ম্যাপিং শেষ করে এর ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়া, অন্যান্য স্থানে ১৬৫ মেগাওয়াট সৌর ও বায়ু শক্তিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পসমূহের স্থান বাছাইয়ের কাজ চলছে।

কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১ হাজার কোটি টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৬ কোটি টাকা। কোম্পানির মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানি (সৌর ও বায়ু শক্তি) ব্যবহার করে ৫০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। ঢাকা/হাসান/রফিক