জাতীয়

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাস্তায় পশু কোরবানি

কোরবানির প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও ঢাকা দক্ষিণ করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নির্ধারিত স্থানে অনেকেই পশু কোরবানি করতে যাননি। তারা নিজেদের বাসার সামনে বা রাস্তায় পশু কোরবানি করেছেন।

রোববার (২ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের ওপর অনেকেই পশু কোরবানি করছেন। অনেকে সড়কের ওপর বসেই মাংস কাটাকাটি করছেন। 

রাজধানীর পুরান ঢাকার কাপ্তান বাজার, গুলিস্তান, বংশাল, নয়াবাজার, বংশাল পুকুরপাড়, নয়াবাজার, সিক্কাটুিল, আলুবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যে যেখানে পারছেন সেখানে কোরবানি পশু জবাই করছেন। অনেক এলাকায় সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থান ফাঁকা রয়েছে। তার কিছু দূরে কোরবানি করা হচ্ছে।

যারা বাসার সামনে ও মূল সড়কে কোরবানি করছেন, তাদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তারা জানান, বাসার সামনে কোরবানি করলে সুবিধা হয়। টানাটানি করেত হয় না।  

সিক্কাটুলির বাসিন্দা হাজী মাসুদ মিয়া বলেন, সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে অনেক দূর। বাসার সামনে কোরবানি করলে  টানাটানি লাগে না।  আর বর্জ্য অপসারণ করে ডাস্টবিনে ফেলেবা। ডেটল দিয়ে পরিষ্কার করে দেব। কারণ বর্জ্য থেকে দুর্গন্ধ বের হলে আমাদের গন্ধ পোহাতে হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের বলেন, দক্ষিণ সিটিতে ১২৫টি পশু কোরবানির স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। পশু জবাইয়ের জন্য ঢাকা দক্ষিণে ৭৫ ইমাম ও ৭৫ কসাই রয়েছেন। নগরবাসীকে রাস্তা কিংবা খোলা জায়গায় কোরবানি না করার অনুরোধ জানানো হলেও অনেকে তা মানছেন না। খোলা স্থানে পশু জবাই করার কারণে পরিবেশ দূষিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য ডিএসসিসি থেকে প্রায় ১ লাখ বিশেষ ধরনের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। এজন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ১ লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।