জাতীয়

স্বেচ্ছাসেবাকে উৎসাহিত করতে নীতিমালা তৈরিতে জোর এলজিআরডিমন্ত্রীর

দেশের স্বেচ্ছাসেবকদের জাতীয় কাঠমোর আওতায় এনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। এজন্য স্বেচ্ছাসেবা সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে তার মন্ত্রণালয় কাজ করবে বলেও আশাপ্রকাশ করেন তিনি।

‘কোভিড-১৯ পরবর্তী আর্থ-সামাজিক উত্তরণ, তারুণ্য ও স্বেচ্ছাসেবা’ শিরোনামে বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) রাতে ফেসবুকে লাইভ প্রোগ্রামে মন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ইউনাইটেড নেশনস ভলান্টিয়ার্স (ইউএনভি) বাংলাদেশ ও অপরাজেয় বাংলা।

আলোচনায় অংশ নেন পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি বাংলাদেশ এর সেক্রেটারি ও প্রধান নির্বাহী সুলতানা আফরোজ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসাইন, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান, ইউএনভি বাংলাদেশ এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর আখতার উদ্দিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অপরাজেয় বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক মাহমুদ মেনন।

মন্ত্রী তাজুল ইসলাম তার আলোচনায় বলেন, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন হচ্ছে।  স্বেচ্ছাসেবা নিয়ে একটা নীতিমালা বা কাঠামো প্রণয়নের জন্য ইউএনভি বাংলাদেশ ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করা হবে।

উন্নয়নের মূল ধারায় স্বেচ্ছাসেবার গুরুত্ব আরোপ করেন সুলতানা আফরোজ। সরকারি ও বেসরকারি খাতগুলোতে স্বেচ্ছাসেবা গতিশীল করতে নীতিমালা প্রণয়নের ওপর জোর দেন তিনি।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসাইন জানান, সরকার তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।  তার মন্ত্রণলায় স্বেচ্ছাসেবার জন্য যেকোনো সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

স্বেচ্ছাসেবকদের অনলাইন ডাটাবেজ তৈরি করা প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন হাসিন জাহান ও আখতার উদ্দিন। স্বেচ্ছাসেবার সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।

স্বেচ্ছাসেবী ও স্বেচাসেবামূলক কাজের সংবাদ প্রকাশে পাশে থাকার কথা বলেন মাহমুদ মেনন।

অনুষ্ঠানে মিডিয়া পার্টনার ছিল বার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম।