জাতীয়

প্রণোদনার অর্থ ব‌্যবহারে গুচ্ছ পরামর্শ

করোনা মোবাকিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত প্রণোদনার অর্থ ব‌্যবহারে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন (বিসিসি)। এই বিষয়ে অর্থ সচিব আবদুর রউফ তালুকদারকে একটি চিঠি দিয়ে এই অর্থব‌্যয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছেন বিসিসির চেয়ারম্যান মো. মফিজুল ইসলাম।

চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রণোদনা প্যাকেজের  অধীনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে যে ঋণ দেওয়া হচ্ছে,  তা সঠিকভাবে ব্যবহার হচ্ছে কি না, তা দেখা উচিত। এই ক্ষেত্রে  দেশে বিদ্যমান ‘প্রতিযোগিতা আইন ২০১২’ মেনে চলা দরকার।

এতে আরও বলা হয়েছে, ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে ব্যবসা-বাণিজ্যে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতের জন‌্য সরকার ২০১২ সালে প্রতিযোগিতা আইন প্রণয়ন করে। এই আইন বাস্তবায়নে ‘প্রতিযোগিতা কমিশন’ ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে।  

প্রতিযোগিতা কমিশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, অর্থনীতির গতি বেগবান করতে বাজার উন্নয়নের পাশাাপাশি নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে প্রতিযোগিতাক কমিশন। যে সব দেশে প্রতিযোগিতা কমিশন কার্যকর, সে সব দেশের জিডিপি ২ শতাংশ থেকে শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রতিযোগিতার কারণেই বেড়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, প্রণোদনা তহবিল পরিচালনা ও উপকারভোগী পর্যায়ে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা আইনের পরিপন্থী বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।  দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা-প্রতিষ্ঠান স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ওইসিডি, আনকাড, ইউরোপীয়ান কমিশনসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগিতা কমিশন সরকারের প্রণোদনা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ‘কম্পিটিশন নিউট্রালিটি রুলস’ অনুসরণ করা জরুরি।  এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/দপ্তর ও সংস্থার মাধ্যমে নিয়মিত তদারকি  প্রয়োজন বলেও প্রতিযোগিতা কমিশন মনে করে। 

মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনার উদ্দেশ‌্য হলো—করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত করা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র‌্যবিমোচন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এছাড়া, সামাজিক নিরাপত্তা পরিধি সম্প্রাসারণ করা, প্রান্তিক-ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলমান রাখা, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করা ও  স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন করা।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চিঠি অর্থ বিভাগ,  প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছে।’ চিঠি বিবেচনায়ও নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।