‘শোষণ-বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক দেশের যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্যে দিয়ে সে স্বপ্নকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই তারা ক্ষান্ত হয়নি, সংবিধান পরিবর্তন করে তারা আত্মস্বীকৃত খুনিদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সম্পর্কিত সবকিছুকে সেদিন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আজকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তাদের মায়াকান্না সত্যিই হাস্যকর।’
শনিবার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান ও অনাথদের মাঝে মৌসুমি ফল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বাংলাদেশ কৃষক লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা এসব কর্মসূচি আয়োজন করে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক লীগের সভাপতি হাজী আব্দুস সালাম বাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুল রবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দসহ সংগঠনের অন্য নেতারা।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সামরিক শাসক আইয়ুব খানের অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। জিয়াউর রহমান আবার সেই বাংলাদেশে সেনাশাসনের জগদ্দল পাথর চাপিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে বারবার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।‘
কৃষি ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘সাড়ে ৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশে যখন জমি ছিল বেশি, তখন প্রয়োজনের মাত্র ৬০ শতাংশ খাদ্য আমরা উৎপাদন করতে পারতাম। কিন্তু আজ আমাদের জমি কমেছে, মানুষ হয়েছে দ্বিগুণ, তারপরও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছি।’