জাতীয়

জাতীয় শোক দিবসে দেশে দেশে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালন করেছে বাংলাদেশের দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিস।

দিবসের কার্যক্রম হিসেবে পরম শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদদের স্মরণ করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। পঁচাত্তরের ববর্রোচিত ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও পলাতক খুনীদের দেশে ফেরত এনে শাস্তি কার্যকর করার জোর দাবি জানানো হয়। 

এছাড়া  জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়।

ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রত্যুষে দূতালয় এবং বাংলাদেশ ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল সাড়ে দশটায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মো. তারাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বনেতা। তখন বিশ্ব ছিল দুভাগে বিভক্ত। এক অংশ ছিল শোষক ও অন্য অংশ ছিল শোষিত। বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিত মানুষের পক্ষে এবং তিনি ছিলেন শোষিত মানুষের নেতা।

ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

বাংলাদেশ হাইকমিশন, ক্যানবেরায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাইকমিশনারসহ অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন। আলোচকগণ জাতির জনকের নেতৃত্ব ও অবদান নিয়ে আলোচনা করেন। তারা তার প্রজ্ঞা এবং আপোষহীন নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। 

তারা জাতির পিতার দূরদর্শী, সাহসী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি আজ স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছে উল্লেখ করে বলেন ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। তারা শোককে শক্তিতে পরিণত করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যে দিয়ে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স ড. শাহিদা আকতার। এসময় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন ও  বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়ায় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।  

এভাবে একই রকম কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী পালন করা হয়।