জাতীয়

গণপরিবহনে স্বাস্থ‌্যবিধি মানাতে অভিযান জোরদার হচ্ছে: সেতুমন্ত্রী

গণপরিবহনে সরকার নির্ধারিত ভাড়া এবং স্বাস্থ‌্যবিধি মানতে মোবাইল কোর্টের মাধ‌্যমে সারা দেশে যে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে, তা আরও জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবন থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে দেশব‌্যাপী গণপরিবহন আগের ভাড়ায় ফিরেছে। গত দুইদিনে অনেক পরিবহন শর্ত মেনে পুরোনো ভাড়া আদায় করলেও কিছু কিছু পরিবহনের বিরুদ্ধে স্বাস্থ‌্যবিধি ভঙ্গসহ কিছু অভিযোগ পাওয়া যায়।  যাত্রী ওঠা-নামার ক্ষেত্রে দরজায় ভিড় এড়াতে হবে।

‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ সারা দেশে বিভাগীয় পর্যায়ে মোট ৫৩টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।  শর্ত না মেনে গাড়ি চালানো ইচ্ছুক ১৯টির বিরুদ্ধে মামলা এবং ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে গত দুইদিনে। এছাড়া জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসাররাও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। আমাদের পুলিশ বাহিনী যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন।  আজ অভিযান আরও জোরদার করা হবে।’

যেসব পরিবহন শর্ত মেনে ভাড়া আদায় করছেন এবং স্বাস্থ‌্যবিধি মেনে চলছেন তাদের ধন‌্যবাদ জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, যেসব পরিবহন স্বাস্থ‌্যবিধি মানছে না সেসব মালিক-শ্রমিক যাতে স্বাস্থ‌্যবিধি মেনে গাড়ি চালানোয় তৎপর হন, সেটা তাদের কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি জনস্বার্থে।

মাস্ক পড়ার ক্ষেত্রে যাত্রী সাধারণের উদাসীনতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখা যাচ্ছে অনেক যাত্রী মাস্ক পরিধান করছেন না।  আমি যাত্রী সাধারণকে ভ্রমণকালে অবহেলা না করে মাস্ক পরিধানের অনুরোধ জানাচ্ছি।  আবার চালক-হেল্পার মাস্ক না পড়ে কোনো রকম গলার সঙ্গে ঝুঁলিয়ে রাখেন। এটা তো লোক দেখানো মাস্ক করা।  মাস্ক যেভাবে নিয়ম সেভাবে পড়তে হবে।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আওয়ামী লীগ জনস্বার্থকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছে বলে মানুষের আস্থার সংগঠনে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যাদের উৎস জনগণ নয়, বন্ধুকের নল, তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। বারবার আন্দোলন-নির্বাচনে ব‌্যর্থ হওয়ায় এটা প্রমাণ করে বিএনপি জনস্বার্থ সুরক্ষায় অভ‌্যস্ত।

‘শেখ হাসিনার স্বার্থ দেশ ও জনগণের স্বার্থ সবার আগে। যারা দেশ বিকিয়ে দিয়ে স্বাধীনতার চেতনাকে লুন্ঠিত করে ইতিহাসকে করে বিকৃত। আর হত‌্যা, ষড়যন্ত্র, সন্ত্রাস নির্ভর রাজনীতি করে তাদের মুখে জনস্বার্থের কথা শোভা পায় না।  জনগণও তা বিশ্বাস করে না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেত্রীর ক‌্যারিশমা পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ‌্যাম্পিয়ন করেছেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ক‌্যারিশমার কথা বলেন! বিএনপির ক‌্যারিশমা পাঁচবার দুর্নীতিতে চ‌্যাম্পিয়ান। হাওয়া ভবনের নামে লুটতরাজের খোয়াব ভবন।  এটাই তাদের ক‌্যারিশমাটিক লিডারশিপের নমুনা।

‘২১ আগস্ট গটিয়ে জজ মিয়া নাটক সাজানো তাদের আরেক ক‌্যারিশমা।  যারা ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানি চুক্তির কথা বলে যান, নরেন্দ্র মোদির বিজয়ের খবের ভারতীয় দূতাবাসের গেটে ছুটির দিনে পুল ও মিষ্টি নিয়ে কারা দাঁড়িয়েছিল এদেশের মানুষ ভালো করেই জানে।’

তিনি বলেন, একুশ বছর প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক তৈরি করে তারা কিছুই আদায় করতে পারেনি।  শেখ হাসিনার দেশের স্বার্থকে প্রাধান‌্য দিয়ে সীমান্ত সমস‌্যা, ছিটমহল সমস‌্যা, সমুদ্র বিজয় করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে একটি দেশবিরোধী বিদেশি শক্তির প্রতিভু তারা ছিলেন। এদেশের যত অর্জন সবকিছু শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের মাধ‌্যমে।