জাতীয়

‘ভাই সুস্থ হলে একসঙ্গে বাড়ি যাবো’

হাসপাতালের বারান্দা। সেখানে দাঁড়িয়ে ফজলুল হক। অপেক্ষা ভাইয়ের জন‌্য। ভাই মো. ফরিদ (৫৫) শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ পাঁচজন এখনো শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি। তাদের সবার অবস্থায় আশঙ্কাজনক। কিন্তু তা মানতে নারাজ ফজলুল হকের মতো দগ্ধ আরও চারজনের স্বজনরা।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফজলুল হক বলেন, ‘ভাইয়ের আয়ে আমাদের সংসার চলতো। নামাজ পড়তে গিয়ে তিনি দগ্ধ হয়েছেন। ভাই ছাড়া আমাদের সংসার অচল। ডাক্তাররা যাই বলুক, ভাই ছাড়া বাড়ি যাবো না। আমরা অপেক্ষা করছি। ভাই সুস্থ হবে। আমরা একসঙ্গে বাড়ি যাবো।’

দগ্ধ আমজাদ হোসেনের স্ত্রী রহিমা বেগম বলেন, ‘আল্লাহ আমার স্বামীকে সুস্থ করে দেবেন। আল্লাহর দিকে আমি এখনও তাকিয়ে আছি। আল্লাহ আমার ডাক শুনবেন।’

এ বিষয়ে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি তাদের অবস্থা ক্রিটিক্যাল। কেননা সবার শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হলেও কোনো উন্নতি হয়নি। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদের বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় ৩১ জন মারা গেছেন। চিকিৎসা শেষে মাত্র একজন বাড়ি ফিরেছেন।

মো. ফরিদ (৫৫), মো. কেনান (২৪), সিফাত ওরফে রিফাত (১৮), মো. আজিজ (৪০) ও আমজাদ হোসেন (৩৭) নামে দগ্ধ এই পাঁচজনকে  হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।