জাতীয়

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ৫ মাস ছাড়

সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমার ক্ষেত্রে ৫ মাস ছাড় পাবেন করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থীরা। ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে, তারা পরবর্তী ৫ মাস সরকারি চাকরির জন‌্য আবেদন করতে পারবেন।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে মন্ত্রণালয়, বিভাগ কিংবা সংস্থা চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিতে পারেনি। এ সময়ের মধ্যে অনেকের চাকরির বয়স পেরিয়েছে। তাই তারা বয়সের ক্ষেত্রে ৫ মাস ছাড় পাবেন।’

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে তা ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের।

এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘যদি করোনার ছুটির সময়ে কোনো পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকে, কোনো বিজ্ঞপ্তি জারির কথা থাকে, এজন্য যদি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাদের বিষয়টি বিবেচনার জন্য যদি আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা থাকে, তবে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করতে পারেন।’

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত চাকরি প্রার্থীদের বয়সসীমা শিথিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মতামত চায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অনুমতি পাওয়ার পর করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষেত্রে বয়সে ছাড় দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

চলতি বছরের মার্চ মাসের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ে। পরিস্থিতি অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, গত ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেওয়া হয়, চালু করা হয় গণপরিবহন। পরে এ ব্যবস্থা তিন দফায় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।