ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘বাংলাদেশে শিশুদের পুষ্টি গ্রহণের হার সন্তোষজনক নয়। এর মূল কারণ—সচেতনতার অভাব। সেজন্য জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের গুরুত্ব অনেক বেশি।’
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে ডিএসসিসি আয়োজিত কেন্দ্রীয় অবহিতকরণ, পরিকল্পনা ও সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএসসিসির মেয়র বলেন, ‘করোনার সময়ে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের সফল বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এজন্য স্বাস্থ্যকর্মী, শিশুদের মা-বাবাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনেক বেশি সংবেদনশীল ও আন্তরিক আচরণ করতে হবে।’
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। জাতীয় পুষ্টি সেবার লাইন ডিরেক্টর, ঢাকার সিভিল সার্জন, ডিএসসিসির সচিব আকরামুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, ইউপিএইচসিএসডিপি ও এনএইচএসডিপির প্রতিনিধি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ওরিয়েন্টশন সভায় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চালানো হবে। ২ হাজার ৯৭৪ জন স্বেচ্ছাসেবক ও ১১২ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে ডিএসসিসি এলাকায় ১ হাজার ৪২৭টি কেন্দ্রে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পেইনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৫২ হাজার ১৭৬ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৪ হাজার ৪৬০ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।