জাতীয়

ব্রুনাইয়ে মানবপাচার: প্রধান সহযোগীসহ তিন সদস্য রিমান্ডে

ব্রুনাইয়ে মানবপাচারকারী চক্রের প্রধান সহযোগী শেখ মো. আমিনুর রহমান ওরফে হিমুসহ তিন সদস্যের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। 

রিমান্ডে যাওয়া অপর আসামিরা হলেন- নূর আলম ও বাবলু রহমান। 

এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।   রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ এর বিরোধিতা করে শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সরলমনা মানুষদের ব্রুনাইয়ে নিয়ে অমানবিক কষ্ট দিয়েছেন। তারা সেখানে কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করেছেন। তাদের মধ্যে একজন ভুক্তভোগী অন্য লোকের মাধ্যমে দেশে ফেরত এসে মামলাটি করেন। ভুক্তভোগী আসামিদের কাছে টাকা ফেরত চাইলে তারা উল্টো মারধর ও ভয়ভীতি দেখান। 

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাফরুল থেকে হিমু এবং মহাখালীর ডিওএইচ থেকে হিমুর সহযোগী নুর আলম ও বাবলু রহমানকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। মানবপাচার চক্রের প্রধান মেহেদী হাসান বিজন ও আবদুল্লাহ আল মামুন অপু এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। 

হিমু ব্রুনাইয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৪০০ লোকের কাছ থেকে প্রায় তিন কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ২০১৯ সালে বিজনের কোম্পানির নামে ভুয়া ডিমান্ড লেটার সংগ্রহ করে হিমু ৬০ জনকে ব্রুনাইয়ে পাঠান। তারা ব্রুনাইয়ে গিয়ে কোনো কাজ না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেন এবং নিজ খরচে দেশে ফিরে আসেন। হিমুর নিজের কোনো রিক্রুটিং লাইসেন্স নেই।