জাতীয়

পদ্মাসেতুর রেল সংযোগের অগ্রগতি ৩৬ শতাংশ

পদ্মাসেতু নির্মাণকাজের তুলনায় ওই সেতুর রেল সংযোগকাজের অগ্রগতি কম। পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-মাওয়া অংশে নির্মাণকাজে অগ্রগতি হয়েছে ৩৬ শতাংশ। অপরদিকে, সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮১ ভাগের বেশি এবং মূল সেতু নির্মাণকাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে।

শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের অগ্রগতি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে।

পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-মাওয়া অংশে এমব্যাংকমেন্টের কাজ হয়েছে ২৯.৬২ শতাংশ, মেজর ব্রিজের কাজ হয়েছে ৭.১৪ শতাংশ, কালভার্ট/আন্ডারপাস নির্মাণের কাজ হয়েছে ১৪.২৪ শতাংশ, ওয়ার্কিং পাইলের কাজ হয়েছে ৫৫.২৩ শতাংশ, প্রিকাস্ট বক্স গার্ডার সেগমেন্টের কাজ হয়েছে ৩৮.২২ শতাংশ, ভায়াডাক্ট-১ এর পিলার অগ্রগতি হয়েছে ২৫.৫৪ শতাংশ, ভায়াডাক্ট-১ এর বক্স গার্ডার স্থাপন কাজের অগ্রগতি ৫.১ শতাংশ হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রকল্পের আওতায় ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। দুই ধাপে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম ধাপে ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত ও দ্বিতীয় ধাপে ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ব্রডগেজ সিঙ্গেল লাইন রেলপথ তৈরি করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় যেসব কার্যক্রম চলছে—ভূমি অধিগ্রহণ, ১৬৯ কিলোমিটার মেইন লাইন নির্মাণ, ৪৩ দশমিক ২২ কিলোমিটার লুপ ও সাইডিং এবং ৩ কিলোমিটার ডাবলসহ মোট ২১৫ দশমিক ২২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেল ট্র্যাক নির্মাণ; ২৩ দশমিক ৩৭ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, ৬৬টি মেজর ব্রিজ, ২৪৪টি মাইনর ব্রিজ ও কালভার্ট, একটি হাইওয়ে ওভারপাস, ২৯টি লেভেল ক্রসিং, ৪০টি আন্ডারপাস, ১৪টি নতুন স্টেশন বিল্ডিং নির্মাণ, ছয়টি বিদ্যমান স্টেশনের উন্নয়ন ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ, ২০টি স্টেশনে টেলিযোগাযোগসহ কম্পিউটারবেজ রেলওয়ে ইন্টারলক সিস্টেম সিগন্যালিং ব্যবস্থা এবং ১০০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী গাড়ি সংগ্রহ।

সরকারের ফাস্টট্র্যাক তালিকাভুক্ত পদ্মাসেতু রেল লিংক প্রকল্পটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।

২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালের জুন মাস নাগাদ এ প্রকল্পের সকল কাজ শেষ হবে।