জাতীয়

‘ধীরে ধীরে পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হবে’ 

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে বন্ধ থাকা পর্যটন কেন্দ্রগুলো ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে। যেগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সেগুলো খুলে দেওয়া হবে।

বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২০ উপলক্ষে শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয় থেকে অনলাইনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।  প্রতমন্ত্রী বলেন, ‘সবার প্রচেষ্টায়, সবাইকে নিয়েই দেশের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে। পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সর্বস্থরের জনগণকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।’

এ বছর ‘গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর সারা দেশে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হবে। দিবসটি উদযাপনের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর জন্য প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এরমধ্যে আমাদের পর্যটনশিল্পও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড পর্যটন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি পরিকল্পনা তৈরি করেছে।’

মাহবুব আলী, ‘বাংলাদেশের গ্রাম না দেখলে বাংলাদেশকে দেখা হবে না। গ্রামীণ জনসাধারণকে পর্যটন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে ও তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কাজ করে চলছে। ভবিষ্যতে এ কাজের পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, ‘গ্রাম উন্নয়ন নিশ্চিত হলে পর্যটক নিশ্চিতভাবেই গ্রাম অঞ্চলে ভ্রমণ করতে যাবেন। পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে দেশে পর্যটনবান্ধব সংস্কৃতি তৈরি ও লালন করতে হবে। এ সম্পর্কে জনগণ ও পর্যটন অংশীজনদের সচেতন করার জন্য আমরা কাজ করছি।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।