বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ‘এয়ার বাবল ফ্লাইট’ উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রায় সাত মাস পর দু'দেশের মধ্যে বিশেষ বিমান ফ্লাইট চালু হলো। সপ্তাহে ৫৬টি বাবল ফ্লাইট চলাচল করবে।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটের উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী।
ট্যুরিস্ট ভিসার অনেক চাহিদা রয়েছে জানিয়ে দোরাইস্বামী বলেন, মানুষ ভারতে যেতে চাচ্ছে, কিন্তু ট্যুরিস্ট ভিসা চালুর বিষয়টি দু-দেশের করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে। বর্তমানে প্রতিদিন হাজার খানেক ভিসার আবেদন পড়ছে। এ সংখ্যা আরও বাড়ছে প্রতিদিন। সব স্টাফদের ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, এয়ার বাবল ফ্লাইটের মাধ্যমে প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত হাজার মানুষ ভারতে যাতায়াত করতে পারেন। পর্যটক ছাড়া সব ভিসা খোলা রয়েছে। বাংলাদেশিরা চিকিৎসাসেবা গ্রহণসহ নানা কাজে ভারত ভ্রমণ করতে পারেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস এম মার্শাল মফিদুর রহমান, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, বাংলাদেশ থেকে ভারতের তিনটি গন্তব্য-কলকাতা, দিল্লি ও চেন্নাইয়ে ফ্লাইট চলবে। প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ থেকে যাবে ২৮টি ফ্লাইট। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কলকাতা ও দিল্লিতে; ইউএস-বাংলা চেন্নাই ও কলকাতায় এবং নভোএয়ার কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করবে। অন্যদিকে ভারত থেকেও সপ্তাহে ২৮টি ফ্লাইট ঢাকায় আসবে। ভারতের এয়ার ইন্ডিয়া, ইনডিগো, স্পাইসজেট, ভিস্তারা ও গোএয়ার-এসব ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
বেবিচকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব ফ্লাইটে কঠোর স্বাস্থ্য বিধিসহ বেশ কিছু নিয়মকানুন ও বিধিনিষেধ অনুসরণ করা হবে। এসব বিধিবিধান মেনেই যাত্রীদের উঠতে হবে। এর মধ্যে প্রথমেই যাত্রীদের করোনা বা কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। কোভিড নেগেটিভ সনদ ছাড়া কোনো যাত্রী দু'দেশে আসা-যাওয়া করতে পারবেন না।