জাতীয়

‘বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথেই দেশকে পরিচালনা করছেন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু সব দিকেই দক্ষ একজন রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলে উপহাস করতো তাদের দেশ থেকেই বঙ্গবন্ধু কন্যা স্যাটেলইট উৎক্ষেপণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন।

শনিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানী রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)’র সেমিনার কক্ষে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ছাত্রলীগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডুয়েকা) উদ্যোগে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সারা বিশ্বের রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। তার সাড়ে তিন বছরের শাসনামল এর উজ্জল দৃষ্টান্ত। দেশের মানুষের মুক্তি ও স্বাধীনতার লক্ষ্যে জাতির জনক ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠান করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগই স্বাধীনতা যুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। পৃথিবীবতে একমাত্র নেতা শেখ মুজিব, যিনি একাধারে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। 

অনুষ্ঠানে ডুয়েকা সভাপতি ও বিটিআরসির মহাপরিচালক (অব.) ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শহীদুজ্জামান মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার এম. হাবিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নূরুজ্জামান, আইইবির সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ডুয়েকার মুজিব শতবর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক এবং টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল হায়দার চৌধুরী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর বলেন, জাতির পিতা আমাদের এ দেশ উপহার দিয়ে গিয়েছেন। তিনি না থাকলে আমরা আজও স্বাধীন হতাম না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা আজ তারই দেখানো পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা হাত ধরে ২০৪১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়াবো।