জাতীয়

জলবায়ু সংশ্লিষ্ট সব প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি: টিআইবি

বাংলাদেশে জলবায়ু সংশ্লিষ্ট প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নাধীন সবগুলো প্রকল্পেই বহুমুখি অনিয়ম ও দুর্নীতি রয়েছে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

স্থানীয়ভাবে প্রকল্পের চাহিদা এবং গুরুত্ব বিবেচনা না করে অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন অর্থায়ন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক প্রতিবেদন এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

টিআইবির গবেষণা দেখা গেছে, গবেষণা  আওতাভূক্ত ৭টি প্রকল্পের সবগুলো প্রকল্পেই বিবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র বিদ্যমান। এক্ষেত্রে ৭ প্রকল্পের সবগুলোই রাজনৈতিক সুপারিশের ভিত্তিতে অনুমোদন করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩ প্রকল্পের অনুমোদনে তৎকালীন একজন মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীকে ১০ শতাংশ প্রকল্প অর্থ অগ্রিম ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একটি প্রকল্পের আওতায় ৬৫০ কিলোওয়াট সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হলেও ভোক্তা পর্যায়ে দৈনিক মাত্র ৫০ কিলোওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্বাহী আদেশ না থাকায় বিদ্যুতের অপচয় করা হচ্ছে। যেখানে প্রকল্পটির আওতায় উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করার সুযোগ না থাকায় অবমুক্তকরণের নামে ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর প্রায় ১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের অপচয় করা হচ্ছে।

গবেষণা আরও দেখা যায়, জাতীয় প্রশমন অঙ্গীকার ও লক্ষ্যমাত্রার পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষায় বাংলাদেশের সাংবিধানিক অঙ্গীকার থাকার পরও বাংলাদেশ সেগুলো উপেক্ষা করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য খাতে বিনিয়োগ না করে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক কয়লা ও এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ফলে, প্রতিশ্রুত প্রশমন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশর আন্তরিকতার বিষয়টি প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। 

ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।গবেষণা পরিচালনা এবং প্রতিবেদন প্রণয়ন করেন সহকারী ব্যবস্থাপক রাজু আহমদ মাসুম ও জ্যেষ্ঠ কর্মসূচি ব্যবস্থাপক এম. জাকির হোসেন খান।