কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তির যেন কোনভাবেই উত্থান না ঘটে সে ব্যাপারে সবাইকে খুবই সজাগ থাকতে হবে।
শনিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে ভার্চুয়ালি নেত্রকোণার সদর উপজেলায় বাংলা রেললাইন সংলগ্ন ‘মহাশ্মশানঘাট কালী মন্দির উদ্বোধন ও সুধী সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সবাই এ শস্য-শ্যামল বাংলাদেশের সন্তান। সব ধর্ম-বর্ণ ও গোত্রের মানুষের এক হয়ে চলাই আমাদের সংস্কৃতি, হাজার বছরের ঐতিহ্য। সম্প্রতি কিছু মানুষ তাদের নিজ লক্ষ্য অর্জন ও স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধর্মকে ব্যবহার করছে। এ ধর্মকে ব্যবহার করে পাকিস্তান ২৩ বছর এ দেশকে শোষণ করেছিল। ধর্মভিত্তিক পাকিস্তান রাষ্ট্রটি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। কিন্তু পাকিস্তানিদের ভূত যাদের ঘাড়ে চেপে রয়েছে, যারা মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী, যারা সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী সেই অপশক্তি অশুভ কাজ করছে। তারা সুযোগ পেলেই সংখ্যালঘুদের অত্যাচার নির্যাতন করে। এ মানসিকতা থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সবসময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। প্রধানমন্ত্রী দেশের সবস্তরে অসাম্প্রদায়িকতাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু ক্ষমতার লোভে দেশকে অস্থিতিশীল করতে উগ্র-সাম্প্রদায়িক-মৌলবাদী গোষ্ঠী রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা নানা অজুহাতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অপশক্তির যেন কোনভাবেই উত্থান না ঘটে সে বিষয়ে সবাইকে অত্যন্ত সজাগ থাকতে হবে।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন তার অনন্য নজির হলো নেত্রকোণা। নেত্রকোণায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বিরাজ করছে, যা বেশ পুরনো। এটিকে সবাই মিলে ধরে রাখতে হবে।
এসময় সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল এবং জেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।